এ ঘটনায় কমপক্ষে দুইজন আহত হয়েছেন। আর পুলিশ বেপরোয়া লাঠি চার্জ করেছে শিক্ষার্থীদের ওপর।
রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার ওসি শাহাদত হোসেন খান জানান, নগরীর রাস্তায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ-সমাবেশ চলাকালে সেখানে একটি বাস চলে আসলে তারা সেটা ভাংচুর করে।
বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা মেডিকেল স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন রাজশাহীর সাধারণ সম্পাদক কৌশিক জামাল জুয়েল ঘটনার দায় স্বীকার করেছেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার সকাল ১০টার দিকে নগরীর সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে জড়ো হয় শিক্ষার্থীরা।
তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
দাবি সম্পর্কে জুয়েল বলেন, ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করা, মেডিকেল এডুকেশন বোর্ড অব বাংলাদেশ গঠন, কমিউনিটি ক্লিনিকে সরকারিভাবে নিয়োগ, বেসরকারি হাসপাতালে ডিপ্লোমা চিকিৎসকদের পদ সৃষ্টি ও ইন্টার্ন চিকৎসকদের ভাতা প্রদান।
ওসি শাহাদত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গাড়ি ভাংচুরের খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণ করে। রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়া হলে তারা মিছিল নিয়ে রেলগেটের দিকে চলে যায়।
বগুড়ায় পরিবহন শ্রমিকদের মারধরের অভিযোগ, আটক ৭
বগুড়ায় ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ ও ভাংচুরে নামলে পুলিশ সাতজনকে আটক করে বলে জানিয়েছেন সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আসলাম আলী।
তিনি বলেন, আন্দোলনকারীরা গাড়ি ভাংচুর করলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য তাদের ধাওয়া দিয়ে সাতজনকে আটক করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে ৯টায় শিক্ষার্থীরা শহরের সাতমাথা থেকে তিনমাথা রেলগেট এলাকায় মিছিল বের করেন। সকাল ১০টায় তারা মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা করে।
এ সময় প্রায় ৪৫ মিনিট যান চলাচল বন্ধ থাকতে দেখা যায়।
করতোয়া কুরিয়ার সার্ভিসের একটি গাড়ির চালক আছির উদ্দিন অভিযোগ করেন, “শুধু গাড়ি ভাংচুর নয়, আমাকে ও আমার সহকারী আনিছারকে বেধড়ক মারধরও করেছে ছাত্ররা।”