শুক্রবার সুনামগঞ্জের মাটিয়ান হাওর, শনির হাওর, করচার হাওর, টাঙ্গুয়ার হাওর পরির্দশন শেষে সন্ধ্যায় সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
সৈয়দ মেহেদী বলেন, “শুক্রবার দিনভর আমাদের একটি প্রতিনিধি দল সুনামগঞ্জের হাওরগুলো পরিদর্শনের পাশাপাশি কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। একই সঙ্গে আমরা পানির গুণাগুণ পরীক্ষা করেছি।
“সুনামগঞ্জের হাওরগুলোতে ৫০ মেট্রিক টন মাছ মারা গেছে। হাওরে তলিয়ে যাওয়া ধান পচে অ্যামোনিয়া গ্যাসের সৃষ্টি হয়েছে। এ গ্যাসের কারণে অক্সিজেন কমে যাওয়ায় মাছ মরে গেছে। টানা বৃষ্টিপাত হলেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।”
মাঠিয়ান হাওর ও শনির হাওরে পানি স্বাভাবিক বলেও জানান তিনি।
ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে দেশের হাওর এলাকায় অকাল বন্যায় বোরো ধান তলিয়ে যায়। দীর্ঘদিন পানির নিচে থাকায় পচে গেছে ধান।
এর মধ্যে সুনামগঞ্জের কয়েকটি হাওরে মাছ মরে ভেসে উঠে। হাওরে ধান পচে সৃষ্ট বিষাক্ত গ্যাসে মাছে মড়ক লাগায় বৃহস্পতিবার থেকে সুনামগঞ্জের হাওরে আগামী এক সপ্তাহের জন্য মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়।
প্রতিনিধি দলে মৎস ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ পরিচালক (রিজার্ভ) রমজান আলী ও উপ-পরিচালক (সিলেট) মোশারফ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।