খুলনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি আক্কাস আলী জানান, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত উপজেলার খর্নিয়া ও রানাই গ্রাম এবং খুলনা মহানগরীর গল্লামারী এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাত অসামিকে তারা গ্রেপ্তার করেন।
একই সময়ে ঢাকা থেকে আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান তিনি।
খুলনায় গ্রেপ্তার সাতজন হলেন- আব্দুর রহিম (৬৮), শামসুর রহমান (৭৫), জাহান আলী বিশ্বাস (৬৭), মো. শাজাহান (৬৮), করিম শেখ (৬৮), আবু বকর (৬৭ ) ও রওশন আলী গাজি (৭২)।
আর ঢাকায় গ্রেপ্তার হয়েছেন নাজের আলী ফকির (৬৮) ও শোহরাব হোসেন সরদার (৬২)। তাদের বাড়িও খুলনা জেলায়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা ১৯৭১ সালের ১৮ মে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার খর্ণিয়া গ্রাম থেকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে থাকা আনু মোল্লা ওরফে আজিজ শেখ, মজিদ বিশ্বাস, সাহেব আলী, শামসুল মোল্লা, ইমাম শেখ, আমজাদ সরদার, আব্দুল লতিফ মোড়ল ও কাওসার শেখসহ ৯ জনকে ধরে নির্যাতন করতে করতে রানাই এলাকার বকুলতলা এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে তাদেরকে গুলি করে হত্যার পর লাশ নদীতে ফেলে দেয়। সেখান থেকে জীবন নিয়ে একজন পালিয়ে আসতে সক্ষম হন।
ওই ঘটনায় ডুমুরিয়ার খর্নিয়া গ্রামের লিয়াকত আলী গাজী ১১ আসামির বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ এনে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি ডুমুরিয়া থানায় একটি মামলা করেন। পরে সেটি ঢাকায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হলে শুরু হয় তদন্ত।
প্রসিকিউশনের তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেলে তার আবেদনে ট্রাইব্যুনাল আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
সেই পরোয়ানার ভিত্তিতেই ১১ আসামির মধ্যে নয়জনকে গ্রেপ্তার করা গেল বলে গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আক্কাস আলী জানান।