রোববার ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে দুপুর সোয়া ২টার দিকে নিজ এলাকা মিঠামইনে আসেন তিনি। যাত্রাপথে রাষ্ট্রপতি হেলিকপ্টারে ‘লো-ফ্লাই’ করে ক্ষতিগ্রস্ত হাওর এলাকার অবস্থা দেখেন।
সম্প্রতি পাহাড়ি ঢলে বাঁধ ভেঙে সুনামগঞ্জ, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোণা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অধিকাংশ হাওর প্লাবিত হয়ে কৃষকের বোরো ধান তলিয়ে গেছে।
হাওর এলাকায় বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকার ফসল তলিয়ে যাওয়ায় হাওর অঞ্চল থেকে উঠে আসা আবদুল হামিদের উৎকণ্ঠার খবরও গত ৯ এপ্রিল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কিশোরগঞ্জের হাওর এলাকাকে দুর্গত ঘোষণার দাবি জানিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতিপুত্র স্থানীয় সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক।
দুপুর ২টায় মিঠামইনে অবতরণের পর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ জেলা পরিষদের ডাকবাংলোয় যান এবং সেখানে তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। পরে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
ওইদিন সন্ধ্যা ৭টায় তিনি জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষাবিদ ও সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নেবেন তিনি।
মঙ্গলবার ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করবেন রাষ্ট্রপতি।