সারাদেশে বৈশাখ আবাহন

জেলায় জেলায় নানা আয়োজনে বিপুল উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নতুন বাংলা বছরকে বরণ করে নিয়েছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 April 2017, 05:27 AM
Updated : 14 April 2017, 09:35 AM

পৃথিবীর আবর্তনে প্রতিদিনের মতো সূর্য উঠলেও শুক্রবার থেকে হিসাবের খাতায় তা ১৪২৪ বঙ্গাব্দ। নতুন দিনটিকে বিভিন্ন এলাকায় মঙ্গল শোভাযাত্রাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বরণ করে নেওয়ার খবর পাঠিয়েছেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিনিধিরা।

বরিশাল

বরিশাল চারুকলার আয়োজনে সকাল ৭টা ৫৯ মিনিটে নগরীর সদর রোডে সিটি কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে বের হয় বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা।

জাতীয় পতাকা নিয়ে শোভাযাত্রার সামনেই ছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা। শোভাযাত্রাটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

বরিশাল

বরিশাল ব্রজমোহন স্কুলের তমাল তলায় বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উদীচী। শুরুতেই গান। তারপর নৃত্য পরিবেশন ও কবিতা আবৃত্তি করেন বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পীরা। ছিল ঢাক ও রাখি উৎসব।

এছাড়া সিটি কলেজসহ একাধিক স্থানে বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়।

ময়মনসিংহ

বাঙালির প্রাণের উৎসব, সর্বজনীন লোক-উৎসব, বৈশাখের প্রথম দিনটি নানা আয়োজনে বরণ করে নিয়েছে ময়মনসিংহের বৃদ্ধ-যুবা, তরুণ-তরুণী শিশু-কিশোরসহ সর্বস্তরের মানুষ।

সকাল সাড়ে ৮টায় ময়মনসিংহ বর্ষবরণ উৎসব উদযাপন পর্ষদের উদ্যোগে শহরের স্টেশন রোড মোড় থেকে বের হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। উদ্বোধন করেন ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমান। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ব্রহ্মপুত্র ঘেঁষা জয়নুল উদ্যানের বৈশাখী চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।

ময়মনসিংহ

বর্ণিল পোশাকে হাজারো মানুষের শোভাযাত্রায় ছিল বাঙালি ঐতিহ্যের নানা শিল্পকর্ম। পালকি, রাজা-রানী, গ্রামীণ বধূ, নৌকা, গরুর গাড়ি, কুঁড়েঘর, পাখি প্রভৃতি।

শোভাযাত্রা শেষে বৈশাখী চত্বরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।

ময়মনসিংহ

বর্ষবরণ পর্ষদের আহ্বায়ক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক আমির আহমেদ চৌধুরী রতন, ঈশ্বরগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম, ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার জিএম সালেহ উদ্দিন, রেঞ্জ ডিআইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলা প্রশাসক খলিলুর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম, পৌরমেয়র ইকরামুল হক টিটু, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইউসুফ খান পাঠানসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা ছিলেন।

যশোর

সকাল সাড়ে ৮টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে বাহারি পোশাক আর বর্ণিল সাজে ঢাক-ঢোলের তালে নানা সুরে বের হয় শোভাযাত্রা। শহরের সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহস্র নারী-পুরুষ ও শিশুর উচ্ছল অংশগ্রহণে বর্ষবরণের এ আয়োজন ছিল বর্ণিল।

বেনাপোল

শোভাযাত্রায় ছিলেন যশোর সদর আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, জেলা প্রশাসক হুমায়ুন কবীর, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ডিএম শাহিদুজ্জামান।

১৯৮৫ সালে যশোরে প্রথম মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করে স্থানীয় চারুপিঠ।

শেরপুর

পৌর পার্কে উদীচী, সরকারি সিটি কলজে মাঠে সপ্তসুর, মিউনিসিপ্যাল স্কুল মাঠে তির্যক, জিলা স্কুল মাঠে পুনশ্চসহ বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সংগঠনের অনুষ্ঠান হয়।

মাগুরা

নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ব্যাপক আয়োজন করে শার্শা উপজেলা পরিষদ। সকাল ৯টায় শহরজুড়ে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। যোগ দেয় প্রায় সব শ্রেণি-পেশার মানুষ।

শোভাযাত্রায় নববর্ষের ব্যানার-ফেস্টুনসহ চোখে পড়ার মতো ছিল অংশগ্রহণকারীদের রঙবেরঙের পোশাক।

ভোলা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মঙ্গল শোভাযাত্রা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে ফারুকি পার্ক সংলগ্ন ডিসি মেলা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে হয় প্রভাতী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। জেলা শিল্পকলা একাডেমী, আলাউদ্দিন সংগীতাঙ্গনসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন।