বৃহস্পতিবার কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আওলাদ হোসেন ভুঁইয়া এ আদেশ দেন।
আসামি মাহবুবুর রহমান জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)।
বাদীর আইনজীবী রহম আলী জানান, মামলার আসামি মাহবুবুর রহমান প্রথমে পলাতক থাকলেও পরে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের শর্তে হাই কোর্টের দেওয়া চার সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। জামিনের মেয়াদের শেষ দিনে তিনি আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন।
“শুনানি শেষে জামিন আবেদনের নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।”
মাহবুবুর রহমানের স্ত্রী ফারজানা তাসমিন বাদী হয়ে গত বছরের ১৫ জুন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি দায়ের করেন।
আইনজীবী রহম আলী জানান, মামলায় ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবির অভিযোগ আনা হয় এবং যৌতুক দিতে রাজি না হওয়ায় স্বামী বাদীকে প্রায় সময়ই শারীরিক নির্যাতন করতেন বলে অভিযোগ করা হয়।
এছাড়া স্বামীর সঙ্গে প্রতিবেশী এক নারীর সম্পর্কের অভিযোগ এনে ফারজানা তাসমিন গত বছরের ৫ জুন কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করেন বলে জানান এ আইনজীবী।
বাদী ফারজানা তাসমিনের বাড়ি জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সূতি ইউনিয়নের নোয়াগাও মৌলভীপাড়া গ্রামে। বর্তমানে থাকেন জেলা শহরের গাইটাল শ্রীধরখিলা এলাকায়। তার স্বামী মাহবুবুর রহমানের বাড়ি নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার মোজাফফরপুর গ্রামে। ২০১৫ সালের ২৪ এপ্রিল সাড়ে তিন লাখ টাকা দেনমোহরে পারিবারিক সম্মতিতে তাদের বিয়ে হয়।