সিলেট কারাগার: ২২৮ বছরে ৭ জনের ফাঁসি কার্যকর

দুইশ ২৮ বছরের ইতিহাসে সিলেট কারাগারে বিপ্লবী অসিত ভট্টাচার্যসহ এ পর্যন্ত সাত জনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। এর মধ্যে সপ্তম ব্যক্তি হিসেবে জঙ্গিনেতা মুফতি আব্দুল হান্নানের সহযোগী দেলোয়ার হোসেন রিপনের ফাঁসির কার্যকর হয়েছে।

মঞ্জুর আহমদসিলেট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 April 2017, 01:54 PM
Updated : 12 April 2017, 05:49 PM

ব্রিটিশ হাই কমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা চালিয়ে তিনজনকে হত্যার মামলায় বুধবার রাতে সিলেট কারাগারের রিপনের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে।  তার বাড়ি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কুনাগাঁও এলাকায়।

সিনিয়র জেল সুপার ছগির মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শহরের ধোপাদীঘির পাড় এলাকায় অবস্থিত সিলেট কারাগার প্রতিষ্ঠিত হয় ১৭৮৯ সালে। এখানে প্রথম ফাঁসি কার্যকর হয় ১৯৩৪ সালের ২ জুলাই।

“ওইদিন ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে অস্ত্রাগার লুটের দায়ে বিপ্লবী অসিত ভট্টাচার্যের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছিল। এরপর সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে আরও পাঁচ আসামির ফাঁসি কার্যকর হয়।”

এখানে আরও ৩৮ জন ফাঁসির আসামি রয়েছেন, বলেন জেল কর্মকর্তা ছগির।

সিলেট কারাগারের ফাঁসি কার্যকরের ঘটনাক্রম:

# ১৯৩৭ সালে স্বামী হত্যার দায়ে মৌলভীবাজারের লংলার জমিদার কন্যা করিমুন্নেসার ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়।

# জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিবেশী মুক্তাদির আলীকে হত্যার দায়ে দক্ষিণ সুরমার রেংগাদাউদপুর গ্রামের সাবুল মিয়া ও স্ত্রী হত্যার দায়ে মৌলভীবাজারের বড়লেখার মিরাপাতন গ্রামের আলম উদ্দিন স্বপনের ফাঁসি কার্যকর করা হয় ২০১০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর।

# হবিগঞ্জের এক কবিরাজকে হত্যার দায়ে ২০১১ সালের ২ মার্চ চা শ্রমিক রবি মুন্ডার ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

# প্রতিবেশীকে খুনের দায়ে ২০১৬ সালের ১৩ জুলাই প্রথম প্রহরে এই কারাগারে মাকু রবিদাসের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

# ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল রাতে  দেলোয়ার হোসেন রিপনের ফাঁসির কার্যকর হয়।