মেহেরপুরে জোড়া খুনের মামলায় ৯ জনের যাবজ্জীবন

মেহেরপুর সদর উপজেলায় এক দম্পতিকে গলা কেটে হত্যা মামলায় নয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

বৃহস্পতিবার দুপুরে মেহেরপুরের অতিরিক্ত জেলা জজ টি এম মুসা এই রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন সদর উপজেলার টেঙার মাঠ গ্রামের জুলমত ডাকাতের ছেলে বাশারুল ও মহিদুল, গাংনী উপজেলার দিঘলকান্দী গ্রামের রিফাত আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম ওরফে শহিদুল কানা ও সাহেব আলী, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার শিতলাইপাড়ার আমজাদ মোল্লার ছেলে এনামুল ওরফে ইন, একই গ্রামের গোলজার শেখের ছেলে মান্নান, গাংনীর সাহেবনগর গ্রামের ফকির আলীর ছেলে মো. নাজির, রামনগর কাজীপুরপাড়ার কালা চানের ছেলে মোহন এবং আব্দুল লতিফের ছেলে অজিত।

রায় ঘোষণার সময় শহিদুল ইসলাম ওরফে শহিদুল কানা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

একইসঙ্গে তাদের এক হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাস করে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।

তাছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চাঁদ আলী ও জাপান নামের দুই আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে বলে অতিরিক্ত পিপি কাজী শহিদুল হক জানান।

মামলার নথির বরাত দিয়ে তিনি জানান, ২০০৮ সালের ২৪ অক্টোবর রাতে মোটরসাইকেল লুট করে নেওয়ার সময় চিনে ফেলায় সদর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের লোকমান হোসেন ও তার স্ত্রী হালিমা খাতুনকে গলা কেটে হত্যার পর গ্রামের একটি পুকুর পাড়ে লাশ ফেলে যায় ডাকাতরা। পরদিন পুলিশ তাদের লাশ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় ওই দিনই বিকালে লোকমানের ভাই তোফাজ্জেল বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা করেন। তদন্ত শেষে ১১ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।