রোববার মাগুরা সদরের কাটাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গা দাখিল মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।
কাটাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১৫ শিক্ষার্থী শ্বাসকষ্ট ও শারীরিক দুর্বলতা নিয়ে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এছাড়া প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে আরও অন্তত ২০ জন।
এর আগে শনিবারও ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়ায় কৃমির ওষুধ খেয়ে কয়েকশ স্কুল শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়েছে।
কাটাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিমল সাহা বলেন, শনিবার শিক্ষার্থীদের সরকারি কর্মসূচির আওতায় কৃমির ওষুধ খাওয়ানো হয়। এরপর বাড়ি গিয়ে দুয়েকজন শিক্ষার্থী কিছুটা অস্বস্তিবোধ করে।
“আজ সকালে অ্যাসেম্বলির পর ক্লাসে গিয়ে শ্বাসকষ্ট, পেটের পীড়া ও শারীরিক দুর্বলতার কথা বলে একে একে ৩০-৩৫ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে।”
পরে তাদের মধ্যে ১৫ জনকে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
আব্দুল হালিম নামে এক আভিভাবক বলেন, শ্বাসকষ্ট ও পেটের পীড়ায় শিক্ষার্থীরা ছটফট করছে। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি না করে চিকিৎসকরা বলছেন তাদের কিছুই হয়নি। অনেককে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি নেওয়ার পথে অবার অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
মাগুরার সিভিল সার্জন ডা. সাদুল্লাহ বলেন, দুয়েকজন শিক্ষার্থীর শারীরিক দুর্বলতা রয়েছে। কৃমির ওষুধ খেয়ে কোনো শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়নি। গুজবের কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতংক সৃষ্টি হয়। মানসিক সমস্যার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে।
দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গা দাখিল মাদ্রাসার ৫২ শিক্ষার্থীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল জানান, সকালে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানো হয়। ওষুধ খাওয়ার কিছুক্ষণ পর থেকেই শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়তে থাকে। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ দ্রুত তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ভর্তি হওয়া ৫২ জনের মধ্যে ৫১ জনই ছাত্রী। সপ্তম ও অস্টম শ্রেণির ছাত্রীরাই বেশি অসুস্থ হয়েছে।
এদের কয়েকজন হলো সপ্তম শ্রেণির মুন্নি খাতুন, উর্মি আখতার, আসমা খাতুন ও সালমা খাতুন এবং অস্টম শ্রেণির রেবেকা খাতুন ও আঁখি খাতুন।
সুস্থ বোধ করায় তিনজনকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হাসপাতাল থেকে ছুটি দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় বলে জানান ডা. আবু হেনা।
অসুস্থ কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ার পর মাথা ঘুরে ওঠে। বমি বমি মনে হয়। অনেকে বমিও করে ফেলে।