সিলেট-ময়মনসিংহ রেলযোগাযোগ স্থাপনে উদ্যোগ নিতে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনার কথা জানিয়েছেন সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান।
Published : 01 Apr 2017, 07:10 PM
সিলেট জেলা পরিষদে সম্প্রতি ব্লগ ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।
তিনি বলেন, “সিলেট থেকে ঢাকা-চট্রগ্রামে রেলে ভ্রমণ খুবই আরামদায়ক। মধ্যখানে রেলের সার্ভিস অনেক ভাল ছিল। এখন রেল সার্ভিসের একটু অবনতি হয়েছে। এটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নজরে দিয়েছি আমরা সিলেটবাসী।
সিলেট-ময়মনসিংহ রেল যোগাযোগ এটা খুব জরুরি। কিন্তু এটা একমাত্র প্রধানমন্ত্রী করতে পারেন। এটি প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনার চেষ্টা করব।”
সিলেটের সারদা হলের পুরাতন স্থাপনকে আগের কাঠামোতে ফেরত আনতে পুরাকীর্তি সংরক্ষণ আইনে সারদা হলকে আনা যায় কিনা এমন প্রশ্নে লুৎফুর রহমান বলেন, “সারদা হল পুরাকীর্তি সংরক্ষণ আইনের মধ্যে যাবেই। এটা আমাদের সিলেট সিটির মধ্যে একমাত্র পুরাতন ভবন। এখানে আমরা মিটিং করতাম ছাত্রলীগের।
“আমাদের অসুবিধা হলো, আমাদের সিটি করপোরেশনের মেয়র নেই। মামলা জটিলতা কাটিয়ে মেয়র আসলে শক্তিশালীভাবে ব্যবস্থা নেয়া যাবে। বিষয়টি জেলা পরিষদ মিটিংয়েও প্রস্তাব আকারে উত্থাপন করা হবে।”
হকার উচ্ছেদে মূল দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের উল্লেখ করে তিনি বলেন, “হকারদের জন্য আলাদা মার্কেট ছিল। মার্কেটটা ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছিল। এটা নিয়ে গণ্ডগোল হয়েছে। লালদীঘির পাড়ের জায়গাটা ভেঙ্গে যদি নতুন ভবন হয়, তখন অনেক হকার কম ভাড়ায় ভাল দোকান করতে পারবে। স্বার্থান্বেষী মহল বিভিন্নভাবে আটকাচ্ছে, তবে আমার মনে হয় বেশিদিন আটকাতে পারবে না।”
বিশ্বে সিটি গভরন্যান্স প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে নগরীয় সমস্যার সঠিক সমাধান করা সম্ভব। বিশ্বে বড় বড় শহরগুলোতে সিটি গভরন্যান্স ব্যবস্থা আছে।
সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে ’সিটি গভরন্যান্স’ ব্যবস্থা নিয়ে লুৎফুর রহমানের অভিমত জানাতে চাইলে তিনি বলেন, “ঢাকা সিটি করপোরেশন এখন দুই ভাগ হয়ে গেছে। দুটি সিটি করপোরেশন উত্তর এবং দক্ষিণ। আমাদের সবকিছু ঢাকা কেন্দ্রীক। উনারা আপ্রাণ চেষ্টা করছে সিটি গভরন্যান্স করার জন্য।
“ইনডিপেনডেন্ট সিটি প্রোগ্রাম। কারণ সিটির অনেক কাজ উনাদের আওতায় নেই। রাস্তা খোঁড়া হচ্ছে, উনাদের পারমিশন নেয় না। সেখানে আমরা ছোট শহর, আমাদের জন্য আরও কষ্টকর। যদি ঢাকায় সিটি গভরন্যান্স হয়, তাহলে সব সিটিতেই হবে। ওরা অগ্রসর হলে, আমরা সাথে আছি।”
এসময় বিভিন্ন সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার নাগরিক সমস্যা সংক্রান্ত ২৫টি লেখা নিয়ে বিপিএলের প্রকাশনা ‘নগর নাব্য-মেয়র সমীপেষু’ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের হাতে তুল দেওয়া হয়।
ব্লগ ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের লেখক ও নাগরিক সাংবাদিক মাইদুল মিঠুন, সুমন দে, রোদেলা নীলা, নাজনীন খলিল, কবি ও সাংবাদিক সৌমিত্র দেব, ব্লগ পরিচালক আইরিন সুলতানা উপস্থিত ছিলেন।