বৃহস্পতিবার নীলফামারী জেলা গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নীলফামারী সদর সার্কেল) অশোক কুমার পাল এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তার আব্দুল খালেক (৪৩) দেবীগঞ্জের খুটামারা সর্দারহাট গ্রামের লোকমান মণ্ডলের ছেলে।
খালেক নিজেকে জেএমবির সক্রিয় সদস্য এবং জেএমবির উত্তরাঞ্চলের সামরিক কমান্ডার রাজীব গান্ধীর ‘একান্ত সহচর’ বলে গোয়েন্দা পুলিশের কাছে দাবি করেছেন বলে জানিয়েছেন এ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।
তিনি বলেন, ভোরে দেবীগঞ্জ সদরের করতোয়া সেতু সংলগ্ন ফ্রেন্ডস হিমাগার এলাকা থেকে নীলফামারী পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তার করে।
“খালেক দেবীগঞ্জে মঠ অধ্যক্ষ যজ্ঞেশ্বর, নীলফামারীর জলঢাকার গোলমুণ্ডা ইউনিয়নের স্কুল শিক্ষক মাধব চন্দ্র হত্যাসহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডে জড়িত।”
পুলিশ কর্মকর্তা অশোক কুমার বলেন, নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডায় ২০১৬ সালের ১৪ জুন জেএমবির নাশকতা ও সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনার বৈঠক চলাকালে পুলিশের অভিযানের সময় জেএমবির সদস্যরা পালিয়ে যায়। ওই দিনের বৈঠকে খালেক উপস্থিত ছিলেন।
ওই ঘটনায় পুলিশ দায়ের করা মামলায় পলাতক আসামি ছিলেন খালেক। তাকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আসছিল বলে জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলার মুখ্য হাকিম আদালতে খালেকের জবানবন্দি গ্রহণের পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গুলশান হামলার পরিকল্পনাকারী হিসেবে যাদের চিহ্নিত করেছিল পুলিশ, তাদের একজন ‘রাজীব গান্ধী’। তাকে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের কর্মকর্তারা টাঙ্গাইল থেকে গ্রেপ্তার করে।