দেবীগঞ্জ থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, বুধবার গভীর রাতে পৌর এলাকার সবুজপাড়া মহল্লার বাবুল কসাইয়ের বাড়িতে এ ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এসে ওই যুবককে উদ্ধার করে।
উদ্ধার ঈশ্বর চন্দ্র রায়কে (২০) দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার বাড়ি নীলফামারীর ডোমার উপজেলার নয়নি বাকডোকরা গ্রামে।
ওসি আমিনুল বলেন, বাবুল কসাইয়ের বাড়িতে বুধবার সেপটিক ট্যাংকের গর্ত খোঁড়ার কাজ করছিলেন ঈশ্বর চন্দ্র ও রুবেল ইসলাম। বেলা ৪টার দিকে গর্তের আশেপাশের মাটি ধসে দুজন চাপা পড়েন।
“স্থানীয়রা রুবেলকে উদ্ধার করতে পারলেও ঈশ্বর চন্দ্র মাটিচাপা পড়ে থাকে। খবর পেয়ে নীলফামারী, ডোমার, পঞ্চগড়, বোদা ও রংপুর থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে উদ্ধার কাজ শুরু করেন।”
পরে রাত পৌনে ১২টায় ঈশ্বর চন্দ্রকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।
নীলফামারী ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক সিরাজুল ইসলাম তালুকদার বলেন, বালি মিশ্রিত হওয়ায় বারবার মাটি ধসে পড়ছিল। এজন্য গর্তের চারদিকে কাঠ ফেলে মাটিধস বন্ধ করে খুঁড়ে ওই যুবককে উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার কাজ পরিচালনার সময় দেবীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান হাসনাৎ জামান চৌধুরী জর্জ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর কবির উপস্থিত ছিলেন।