রোববার স্বাধীনতা দিবস অনুষ্ঠানে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড ব্যতিক্রমী এ আয়োজন করে।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নজরুল ইসলাম বলেন, স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে তিন শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান চলাকালে সদ্য গঠিত উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড ঘোষণা দেয় যে, তারা তাদের মুক্তিযোদ্ধা বাবা ও অভিভাবকদের পা ধুয়ে সম্মান জানাবে।
আবার অনেকে ইচ্ছে করেও আরেক মুক্তিযোদ্ধা বাবার পা ধুয়ে দেন, বলেন তিনি।
সরেজমিনে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের এ প্রতিনিধি দেখেন, পা ধুয়ে দেওয়ার সময় মুক্তিযোদ্ধা ও তার সন্তানের চোখের জল গড়িয়ে পড়ছে। কেউ কেউ একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন। কেউ আবার সন্তানের মাথায় হাত বুলিয়ে মঙ্গল কামনা করেন।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন সুলতানাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের আহ্বায়ক ও জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মাজেদুর রহমান বকুল বলেন, “আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। এ জন্য তাদের সম্মান ও স্বীকৃতি দিতেই পা ধুয়ে দেওয়ার কাজটি করেছি।”
উপজেলা ডেপুটি মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শেখ নুরুল ইসলাম বলেন, “ছেলেদের কাছে পা ধুয়ে নেওয়াটা একটু বিব্রতকর লাগলেও বেশ সম্মানজনক ছিল। দোয়া করি, এর বিনিময়ে আল্লাহও যেন ভবিষ্যতে তাদের সম্মানিত করেন।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন সুলতান বলেন, আয়োজনটি স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানগুলোকে সমৃদ্ধ করেছে। সবকিছু ছাপিয়ে ওই আয়োজনটাই সবার মনে গেঁথে আছে।