প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে প্রশাসনের সমঝোতার আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা সাময়িকভাবে আন্দোলন স্থগিত করেন।
রেজিস্ট্রার স্বদেশচন্দ্র সামন্ত সাংবাদিকদের বলেন, ৩০ মার্চ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে একটি সেমিনার করা হবে। এমন প্রস্তাবের পর শিক্ষার্থীরা আন্দোলন থেকে ফিরে আসেন।
সম্মান শ্রেণির আটটি সেমিস্টারের মধ্যে সপ্তমটিতে ফেল করলে শিক্ষার্থীকে অষ্টম সেমিস্টারে উন্নীত করা হয় না। এটাই প্রবেশন প্রথা। শিক্ষার্থীদের দাবি, ফেল করলেও অষ্টম সেমিস্টারে উন্নীত করে মানোন্নয়ন পরীক্ষার মাধ্যমে সপ্তম সেমিস্টারে পাশ করার সুযোগ থাকতে হবে।
রেজিস্ট্রার স্বদেশচন্দ্র বলেন, “এই দাবি মেনে নেওয়ার মতো না। তবু শিক্ষার্থীদের আমরা স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমের মধ্যে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। দাবির বিষয়টি সেমিনারে আলোচনা করা হবে।”
মঙ্গলবার দুপুরের দিকে প্রবেশন প্রথা বাতিল ও মানোন্নয়ন প্রথা চালুসহ পাঁচ দফা দাবিতে ক্লাস বর্জন করে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের ঘোষণা দেন। তারা ক্যাম্পাসের সব ফটকে তালা ঝুলিয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন। বন্ধ হয়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের কার্যক্রম।