সোমবার দুপুরে উখিয়ার বালুখালীর অনিবন্ধিত শরণার্থী শিবির পরিদর্শন শেষে সেখানে অবস্থানকারী রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেন তারা।
তবে শরণার্থী শিবির পরিদর্শনের প্রথম ও দ্বিতীয় দিন গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে বলতে রাজি হননি প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
উখিয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুরুদ্দিন মো. শিবলী নোমান জানান, সকাল ১০টার দিকে মিয়ানমার সরকারের প্রতিনিধি দলটি উখিয়ার বালুখালীর পাহাড়ি এলাকায় নতুন করে গড়ে ওঠা রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শনে যান।
“পরিদর্শনে গিয়ে প্রতিনিধি দলটির সঙ্গে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা কথা বলেন। এসময় রোহিঙ্গারা প্রতিনিধি দলটির কাছে নির্যাতন-নিপীড়নের কথা ও দাবি তুলে ধরেছেন।”
তবে তারা মিয়ানমারের ভাষায় কথা বলায় তাদের মধ্যে আলাপের বিষয়গুলো বুঝতে পারা সম্ভব হয়নি বলে জানান শিবলী নোমান।
এসময় জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইমরুল কায়েস, উখিয়ার পুলিশ প্রশাসন ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থাসহ (আইওএম) বিভিন্ন সংস্থার কর্তা ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
বালুখালীর শরণার্থী শিবির পরিদর্শন শেষে দুপুরে প্রতিনিধি দলটি টেকনাফের লেদা এলাকার অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শনের উদ্দেশে রওনা দেন বলে জানান তিনি।
এদিকে সোমবার বিকাল ৫টার দিকে টেকনাফের লেদা এলাকার রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন শেষে প্রতিনিধি দলটি কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা দেয় বলে জানান আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) ন্যাশনাল প্রোগ্রাম অফিসার সৈকত বিশ্বাস।
তিনি বলেন, রাতে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা কক্সবাজারে অবস্থান করবে। মঙ্গলবার সকালে বিমানে করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন।
এর আগে রোববার সকালে প্রতিনিধি দলটি বিমানে করে কক্সবাজার পৌঁছে জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। পরে বিকালে তারা উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শনে যান।
গত বছরের অক্টোবরে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর দেশটির সেনাবাহিনী ব্যাপক অভিযান শুরু করে।
ওই অভিযানের সময় ৭০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে বলে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) ধারণা।
আন্তর্জাতিক চাপের মুখে মিয়ানমারের নতুন সরকার রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে একটি তদন্ত দল গঠন করে। ওই দলের পাঁচ সদস্য বাংলাদেশে আসা প্রতিনিধি দলেও আছেন।