শহরের মৌলভীপাড়ার বাড়ি থেকে শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তাদের লাশ পরিবারের সদস্যরা উদ্ধার করে বলে গোপালগঞ্জ থানার ওসি সেলিম রেজা জানান।
এরা হল নড়াইলের নড়াগাতি থানার মঙ্গলপুর গ্রামের শহিদুল জামান মল্লিকের মেয়ে চৈত্রী আফরিন তমা ও গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চর বরফা গ্রামের জাকির মোল্লার মেয়ে জাকিয়া সুলাতানা শ্রাবনী।
তমা গোপালগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম ও শ্রাবনী অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
ওসি সেলিম জানান, তমা সম্পর্কে শ্রাবণীর খালা হয়। তমাদের বাসায় থেকেই শ্রাবণী পড়াশোনা করত। শ্রাবণী এ বছরের শুরুতেই গোপালগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়।
তমার মামাত বোন ফাতেমা খানম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টার তমা ও শ্রাবনী এক সঙ্গে স্কুল থেকে বাসায় ফেরে। এরপর তারা একটি ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়।
“সন্ধ্যার দিকে গৃহশিক্ষক পড়াতে এসে দরজা বন্ধ দেখে তাদের ডাকাডাকি করে। অনেক্ষণ কোনো সাড়া না পেয়ে পরিবারের লোকজন দরজা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে ওড়নার সঙ্গে ফাঁস লাগানো অবস্থায় তমা ও শ্রাবনীর লাশ দেখতে পায়।”
পরে তাদের উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান ফাতেমা।
ওসি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে ফাতেমার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
তারা আত্মহত্যা করেছে বলে জানালেও প্রাথমিকভাবে এর কারণ নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।