“ট্রাকটি সরাতে প্রায় ৪০ মিনিট সময় লাগে। এ সময় যানজট সৃষ্টি হয়। যান চলাচল স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার আগেই সকালে শুরু হয় বৃষ্টি। তাছাড়া গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা পর্যন্ত ফোর লেইনের কাজ চলছে। সব মিলিয়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।”
যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ চেষ্টা করে যাচ্ছে বলে তিনি জানান।
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকায় গত এক মাস ধরে দেখা গেছে, প্রায়ই যানজটে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। মাঝেমধ্যে গাড়ি চলে থেমে থেমে। মাঝে মাঝে একদমই চলে না।
“মহাসড়কেএলোমেলো গাড়ি চলাচল, বিকল গাড়ি পার্ক ও দুই দিনের সাপ্তাহিক ছুটির কারণে ঘরমুখো যাত্রীর চাপে যানজট সৃষ্টি হয়।”
এ অবস্থা নিত্যনৈমিত্তিক হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগীরা।
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে চলাচলকারী হানিফ পরিবহনের যাত্রী শাহজাহান মিয়া বলেন, চন্দ্রা থেকে কালিয়াকৈর উপজেলা পার হতে স্বাভাবিকভাবে সময় লাগে পাঁচ মিনিট।
“শনিবার সকাল ৮টার দিকে ঢাকা থেকে রওনা হয়ে চন্দ্রায় গিয়ে যানজটের কবলে পড়ি। প্রায় এক ঘণ্টায়ও কালিয়াকৈর অতিক্রম করতে পারিনি।”
আবুল কাসেম টাঙ্গাইল থেকে সকাল ৮টায় বাসে ওঠেন।
“এক-দেড় ঘণ্টার পথ। অথচ বেলা ১২টায়ও গাজীপুরে পৌঁছতে পারলাম না। কেবল কালিয়াকৈরের শ্রীফলতলী এলাকায় পৌঁছালাম।”
টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান জানালেন সড়কের তুলনায় অতিরিক্ত গাড়ির চাপের কথা।
তিনি বলেন, ঢাকা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত মহাসড়কে উত্তর ও দক্ষিণ বঙ্গের প্রায় ৩০টি জেলার যান চলাচল করে। চাপ সামলানোর জন্য সড়কটি চার লেইনে উন্নীত করার কাজ চলছে।
একদিকে বেশি গাড়ির চাপ, আরেকদিকে সড়কে কাজের কারণে যান চলাচলে বিঘ্ন - সব মিলিয়ে যানজট হচ্ছে বলে তিনি মনে করেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “ভোরে সড়কে পুলিশ থাকে না। আবার হাইওয়ে পুলিশ গাড়ি থামিয়ে টাকা নেয়। এ সময় সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়। একবার জট লাগলে তার রেশ থাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা।”
টাকা নেওয়ার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে টাঙ্গাইল ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক মো. এশরাজুল হক বলছেন, “টাকা নেওয়া হয় না।
“মহাসড়কে ফোর লেইনের কাজ চলছে, ফিটনেসবিহীন যান চলাচল করছে, সড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে, আর লাইসেন্সবিহীন চালক দিয়ে গাড়ি চালানোর কারণে যানজট হচ্ছে।”