পদ্মায় স্পিডবোট ডুবে বিএনপি নেতা নিখোঁজ

মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে পদ্মায় স্পিডবোট ডুবে শরীয়তপুরের এক বিএনপি নেতা নিখোঁজ হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

শরীয়তপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 March 2017, 01:34 PM
Updated : 9 March 2017, 01:34 PM

নিখোঁজ ইকবাল হোসেন সিকদার জাজিরা উপজেলা বিএনপির সভাপতি।

জাজিরা থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম জানান, বুধবার দুপুরে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে পদ্মা নদীতে ঝড়ের কবলে পড়ে স্পিডবোট ডুবে ইকবাল সিকদার নিখোঁজ হন।

ওই দুর্ঘটনায় আহত এক শিশু ওইদিন হাসপাতালে মারা যায় এবং বৃহস্পতিবার এক নারীর লাশ পাওয়া গেছে। তাছাড়া আরেক শিশু নিখোঁজ থাকার কথা জানিয়েছেন মাওয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির এসআই নাজমূল ইসলাম।

নৌকার যাত্রী ও স্বজনরা আরও কয়েকজনের মৃত্যুর কথা দাবি করলেও তা কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি।  

ডুবে যাওয়া স্পিডবোটের যাত্রী ফুল ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন বলেন, শিমুলিয়া ফেরি ঘাট থেকে নারী ও শিশুসহ ২৮ জন যাত্রী নিয়ে স্পিডবোটটি শরীয়তপুরের মাঝির ঘাটের উদ্দেশে ছাড়ে। রওনা হওয়ার পাঁচ মিনিট পর একবার স্পিডবোট বিকল হয়ে যায়।

“এরপর হঠাৎ করে আকাশ কালো হয়ে প্রচণ্ড ঝড় উঠলে স্পিডবোট ২৮ জন যাত্রী নিয়ে উল্টে পানিতে ডুবে যায়। এ সময় ১০/১২ জন যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও বাকিরা নিখোঁজ হয়। তাদের মধ্যে ইকবাল সিকদারও ছিলেন।”

তিনি বলেন, “কিছুক্ষণ পরে শিমুলিয়া ফেরিঘাট ও মাঝিরঘাট থেকে অন্যান্য স্পিডবোট নিয়ে উদ্ধারের জন্য লোকজন এসে অন্তত পাঁচজনকে উদ্ধার করে।”

এ সময় স্পিডবোটের মালিক মালেক মাঝিসহ অন্যনার চিকিৎসার নাম করে চারজনের লাশ অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন তিনি।

এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অর্ধশতাধিক নৌকা ও ট্রলার নিয়ে ইকবালের স্বজনরা তাকে খোঁজাখুঁজি করেন।

ইকবালের ছোট ভাই শাহীন সিকদার বলেন, “শিমুলিয়া ঘাট থেকে একটি স্পিডবোটে করে ভাই বাড়িতে আসতে ছিল। পথে স্পিডবোট নষ্ট হওয়ায় দেরি হয়। পরে ঝড়ের কবলে পড়ে স্পিডবোট ডুবে তিনি নিখোঁজ হয়ে যায়।”

“লোকজন গিয়ে পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করার পর স্পিডবোট মালিক মালেক মাঝিসহ অন্যরা চারজনের লাশ ঢাকায় চিকিৎসার নাম করে নিয়ে যায়। আমার ধারণা তাদের মধ্যে আমার ভাইয়ের লাশ ছিল।”