শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা: ১৪ বছর পর বাদীর জবানবন্দি

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার মামলায় ১৪ বছর পর বাদী আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

সাতক্ষীরা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 March 2017, 02:55 PM
Updated : 7 March 2017, 02:55 PM

সাতক্ষীরার মুখ্য বিচারিক হাকিম রাফিজুল ইসলাম মঙ্গলবার দুপুরে মুক্তিযোদ্ধা মো. মোসলেম উদ্দিনের জবানবন্দি গ্রহণ করেন।  

ওই আদালতের পিপি ওসমান গনি জানান, মঙ্গলবার ছিল মামলার ধার্য দিন। শারীরিকভাবে অসুস্থ বাদী হুইল চেয়ারে আদালত কক্ষে আসেন। 

জবানবন্দিতে তিনি ২০০২ সালের ৩০ অগাস্ট সাতক্ষীরা থেকে যশোর যাওয়ার পথে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার বর্ণনা দেন।

এ মামলায় সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ বিএনপি ও যুবদলের অনেককে আসামি করা হয়। এ মামলার কয়েকজন আসামি এখনও পলাতক রয়েছেন। অন্যদের মধ্যে কেউ জামিনে অথবা জেলে আটক রয়েছেন।

মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী ১৪ মার্চ।

সাতক্ষীরা আদালতের এপিপি তামিম আহমেদ সোহাগ মামলার বরাত দিয়ে জানান, কলারোয়ার হিজলদির এক মুক্তিযোদ্ধাপত্নী ধর্ষণের শিকার হয়ে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। ওই সময় শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা এসে তাকে দেখে সফরসঙ্গীদের নিয়ে যশোরে ফিরে যাচ্ছিলেন। কলারোয়ায় পৌঁছলে তার গাড়িবহরে হামলা হয়। হামলায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী অক্ষত থাকলেও তার কয়েকজন সফরসঙ্গী আহত হন। এ সময় তাদের গাড়িও ভাংচুর হয়।

এপিপি তামিম জানান, এ ঘটনায় তৎকালীন কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা মোসলেম উদ্দিন বাদী হয়ে কলারোয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।

“কিন্ত তৎকালীন থানার ওসি গোলাম কিবরিয়া মামলাটি রেকর্ড করেননি। ফলে বাদী সাতক্ষীরা নালিশি আদালতে মামলা করেন।”

মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৬০-৭০ জনকে আসামি করা হয় বলে জানান তামিম।

তিনি জানান, আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য কলারোয়া থানার ওসিকে নির্দেশ দিলে পুলিশ শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনাটি মিথ্যা বলে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। ফলে আদালত মামলাটি খারিজ করে দেয়।

২০০৪ সালে বাদী নিম্ন আদালতের ওই আদেশের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আপিল করেন। উচ্চ আদালত ২০১৩ সালের ১৮ জুলাই মামলাটি সাতক্ষীরার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে পাঠিয়ে পুনর্বিবেচনার আদেশ দেয়।

সাতক্ষীরার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত তখন শুনানি শেষে কলারোয়া থানার ওসিকে মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আদেশ দেয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় মামলার কার্যক্রম শুরু হয়।