ধর্মঘট প্রত্যাহার হয়নি চুয়াডাঙ্গায়

সড়ক দুর্ঘটনায় তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরের নিহতের ঘটনায় বাসচালকের যাবজ্জীবন সাজার প্রতিবাদে খুলনা বিভাগে ডাকা ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হলেও চুয়াডাঙ্গায় প্রত্যাহার হয়নি বলে জানিয়েছেন জেলার শ্রমিক নেতারা।

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Feb 2017, 03:54 PM
Updated : 27 Feb 2017, 03:54 PM

সোমবার সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা জেলা বাস ট্রাক সড়ক পরিবহনের শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রিপন মণ্ডল বলেন, “খুলনা থেকে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হলেও আমারা করিনি। আমাদের বাস চলবে না।”

এদিকে খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় সন্ধ্যা থেকে যানবাহন চলাচল শুরুর কথা বলা হলেও চুয়াডাঙ্গায় রাত পৌনে ৯টা পর্যন্ত চলাচল শুরু হয়নি।

ধর্মঘট প্রত্যাহারের খবরে অনেকেই ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশে ঢাকাগামী পরিবহন কাউন্টারে গিয়ে শুনেন গাড়ি চলবে না।

চুয়াডাঙ্গা থেকে ঢাকাগামী জেআর পরিবহনের বড় বাজার কাউন্টার থেকে বলা হয়, গাড়ি রাতে চলবে না। কবে চলবে তাও বলা যাচ্ছে না।

ঢাকাগামী পরিবহন পূর্বাশা কাউন্টার থেকে রোকন হোসেন বলেন, শ্রমিক নেতারা গাড়ি চালানোর কোনো নির্দেশনা এখনও দেননি।

ছয় বছর আগে ২০১১ সালের ১৩ অগাস্ট মানিকগঞ্জে এক সড়ক দুর্ঘটনায় মাইক্রোবাস আরোহী চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরসহ পাঁচজন মারা যান।

সেই দুর্ঘটনায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি মানিকগঞ্জের আদালত আসামি চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স পরিবহনের চালক জামির হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। রায়ের পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

এর প্রতিবাদে পরিবহন শ্রমিকরা ধর্মঘটে নামেন।

ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে সমঝোতার লক্ষ্যে সোমবার দুপুর ১২টায় খুলনা সার্কিট হাউজে বিভাগীয় প্রশাসন বৈঠকে বসে।

বৈঠক শেষে জেলা প্রশাসক নাজমুল সাংবাদিকদের বলেন, যেহেতু আদলতের সিদ্ধান্তের বাইরে কারও কিছু করার নেই - বিষয়টা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।

পরিবহন শ্রমিকনেতাদের উচ্চ আদালতে যাওয়ার পারমর্শ দেওয়ার পাশাপাশি প্রশাসনের পক্ষ থেকে যা করার সুযোগ আছে তা করার আশ্বাস দেওয়া হয়। যেকোনো প্রয়োজনের প্রশাসন তাদের সাধ্যমতো সহযোগিতার আশ্বাস দিলে তারা ধর্মঘট প্রত্যাহারে সম্মত হন বলে জানান জেলা প্রশাসক।