সাংসদ লিটন হত্যায় কাদেরের ‘দোষ স্বীকার’

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মনজুরুল ইসলাম লিটন হত্যায় ‘দোষ স্বীকার’ করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন ওই আসনের সাবেক এমপি আবদুল কাদের খান।

গাইবান্ধা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Feb 2017, 03:37 PM
Updated : 25 Feb 2017, 05:39 PM

রংপুর রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি আহমেদ বশির জানান, শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টার পর থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত গাইবান্ধার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম জয়নাল আবেদিন তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন।

“কাদের খান আদালতে ১৬৪ ধারায় এমপি লিটন হত্যার পরিকল্পনা, প্রশিক্ষণ ও বাস্তবায়ন সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন।”

এমপি লিটন হত্যা মামলার অভিযোগপত্র ১৫ দিনের মধ্যে আদালতে জমা দেওয়া সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

লিটন হত্যা মামলায় গত মঙ্গলবার বগুড়া শহরের রহমাননগর জিলাদারপাড়ার বাসা থেকে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল কাদের খানকে প্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।

রংপুর রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি আহমেদ বশির

শনিবার গাইবান্ধার আদালত থেকে পুলিশ প্রহরায় বের হচ্ছেন আবদুল কাদের খান।

কাদের খানকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, সাবেক এই সাংসদের ‘পরিকল্পনাতেই হত‌্যা করা হয়েছে’ সাংসদ মনজুরুল ইসলাম লিটনকে। তার গাড়িচালক আবদুল হান্নান, বাসার তত্ত্বাবধায়ক শাহিন মিয়া ও মেহেদী এই তথ‌্য জানিয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। 

গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য লিটনকে গত ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের উত্তর শাহাবাজ গ্রামে তার বাড়িতে গুলি করে হত‌্যা করা হয়।

পুলিশ বলছে, আবারও সাংসদ হওয়ার অভিলাষ থেকে নিজের পথ পরিষ্কার করতে লিটনকে ‘হত‌্যার পরিকল্পনা’ করেন কাদের খান।

লিটন খুন হওয়ায় শূন্য আসনে উপনির্বাচন হওয়ার কথা আগামী ২২ মার্চ। এ নির্বাচনে কাদের খান জাতীয় পার্টির মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও শেষ পর্যন্ত জমা দেননি।

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল ডা. কাদের খানের বাড়ি সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ছাপড়হাটি ইউনিয়নের পশ্চিম ছাপড়হাটি খানপাড়া গ্রামে। ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে তিনি সুন্দরগঞ্জের সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন।

মন্দির ভাংচুরের তদন্ত শুরু

ওসি আতিয়ার রহমান বলেন, সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে ‘নব্য জেএমবির’ নামে একাধিক মন্দির পুড়ে দেওয়া ও প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এ সব ঘটনা কাদের খানের নির্দেশ সংঘটিত হয়েছে কি না তারও তদন্ত করা হচ্ছে।