সোমবার সকালে তাদের সোনারগাঁ থানা থেকে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে জেলা পুলিশ সুপার মঈনুল হক জানান।
এরা হলেন এসআই আমিনুল ইসলাম ও আব্দুল লতিফ।
এছাড়া ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের সোর্স মো. জয়নাল, হাবীব উল্লাহ ও মিঠু আহম্মেদ আটক করা হয়েছে।
ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মতিয়ার রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার।
মারধরের শিকার কাউছার টেক্সটাইল মিলের মালিক মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, “সোনারগাঁ থানার এসআই আমিনুল ইসলাম ও এসআই আব্দুল লতিফ এবং তাদের সঙ্গে আসা কয়েকজন সন্ত্রাসী আমাকে মাদক ব্যবসায়ী আখ্যা দিয়ে মারধর করে। পরে নারী দিয়ে আমাকে ব্লাকমেইলি করে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।
“চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে আমাকেমারধর করে হাতে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে থানায় নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয়। আমি থানার ওসির সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তারা আমাদের মোবাইল ফোনও কেড়ে নেয়।”
তিনি বলেন, বিষয়টি এলাকাবাসী শুনতে পেয়ে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে একত্রিত হয়ে তাদের আটক করে পিটুনি দেয়। পুলিশ সদস্যকে আটক করার খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ-অঞ্চল) সাজিদুর রহমান ও সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এস এম ওবায়েদুল হক এসে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে যান।
তদন্ত কমিটি প্রধান মতিয়ার রহমান বলেন, “সোমবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আমরা ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলেছি।
“ঘটনায় পুলিশের দুই সদস্য জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”