দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম জানান, সোমবার সকাল সোয়া ৬টার দিকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরিসহ সব ধরনের নৌচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
“প্রায় তিন ঘণ্টা পর সকাল ৯টার দিকে কুয়াশা কেটে গেলে আবার নৌচলাচল শুরু হয়। এখন চারটি ঘাট দিয়ে ১৫টি ফেরি স্বাভাবিকভাবে চলাচল করছে।”
ফেরি বন্ধ থাকার সময় দৌলতদিয়া ঘাটে তেমন কোনো যানবাহন না থাকলেও পাটুরিয়ায় দুই শতাধিক যান আটকা পড়ে বলে জানান ব্যবস্থাপক শফিকুল।
এদিকে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি ঘাটেও সকালে এক ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক গিয়াসউদ্দিন পাটোয়ারী জানান, ঘন কুয়াশার কারণে এই রুটে সকাল সাড়ে ৫টা থেকে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল।
“কুয়াশা কমে যাওয়ায় পরে ফের যান চলাচল শুরু হয়েছে।”
চাঁদপুরের হরিনা ফেরিঘাট ব্যবস্থাপক ইমরান খান জানিয়েছেন, ঘন কুয়াশার কারণে সকাল ৬টা থেকে প্রায় তিন ঘণ্টা মেঘনায় চাঁদপুর-শরীয়তপুর নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে। পৌনে ৯টার দিকে কুয়াশা কেটে গেলে আবার ফেরি চলাচল শুরু হয়।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের ২১ জেলার সঙ্গে রাজধানীর সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে পদ্মা পারাপারের দুই গুরুত্বপূর্ণ পথ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ও শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি। শীত মৌসুমে এসব নৌপথে ঘন কুয়াশার কারণে প্রায়ই পারাপার বিঘ্নিত হয়।
এ বছর মাঝে অনেক দিন বিরতি দিয়ে শীতের শেষে এসে আবার কুয়াশা পড়ল।