বরগুনার পুলিশ সুপার বিজয় বসাক বলেন, বুধবার বিকালে জেলা শহরের টাউনহল এলাকা থেকে এক বোতল ফেন্সিডিলসহ তাকে আটক করে জেলা পুলিশের একটি দল।
ইসরাফিলের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা করে আদালতে তোলা হবে বলে জানান তিনি।
বরগুনা সদর উপজেলায় এর আগে পিআইও ছিলেন রণজিৎ কুমার সরকার। তিনি দুর্নীতির অভিযোগে কারাগারে গেলে আমতলী ও তালতলী উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত পিআইও মো. ইসরাফিলকে সদর উপজেলারও দায়িত্ব দেওয়া হয়।
উপজেলায় বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় সেতু ও কালভার্ট নির্মাণের ১৩ কোটি টাকার দরপত্রে পে-অর্ডার জালিয়াতির অভিযোগ নিয়ে মঙ্গলবার একটি সংবাদ প্রকাশ করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।
কাজ না পাওয়া ঠিকাদারদের অভিযোগ, পিআইও ইসরাফিলের সঙ্গে যোগসাজশে স্থানীয় কিছু ঠিকাদার জালিয়াতির মাধ্যমে কাজ পাওয়া নিশ্চিত করেছেন। পূবালী ব্যাংক বরগুনা শাখার ব্যবস্থাপক বলেছেন, অল্প টাকার পে-অর্ডার কেটে তাতে বেশি টাকার অংক বসিয়ে সরকারি দপ্তরে ব্যবহার করার তথ্য তিনিও পেয়েছেন।
পিআইও ইসরাফিল দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করলেও নিয়ম অনুযায়ী পে-অর্ডারের তথ্য লিপিবদ্ধ না রাখায় তাকে কারণ দর্শাতে বলেছেন সদর উপজেলার ইউএনও আজহারুল ইসলাম।