কলেজছাত্রকে নির্যাতন, ওসিসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ

থানায় ডেকে কলেজছাত্রকে শারীরিক নির্যাতন ও মিথ্যা চুরির মামলায় সন্দেহভাজন আসামি করে হয়রানির অভিযোগে ঝালকাঠির রাজাপুর থানার ওসি শেখ মুনীর উল গীয়াসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

ঝালকাঠি প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Feb 2017, 03:41 PM
Updated : 13 Feb 2017, 03:41 PM

সোমবার দুপুরে ঝালকাঠির জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে কলেজছাত্র মোহাম্মদ ইমরান হোসেন আদনান বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

আদালতের বিচারক রুবাইয়া আমেনা অভিযোগ আমলে নিয়ে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি শুনানির জন্য দিন রেখেছেন বলে জানান বাদীর আইনজীবী খান শহিদুল ইসলাম।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন রাজাপুর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. নজরুল ইসলাম, সহকারী উপ-পরিদর্শক সঞ্জীবন বালা ও রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মো. আবুল খায়ের মাহামুদ রাসেল।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে আইনজীবী শহিদুল বলেন, অভিযোগ আমলে নিয়ে পুলিশ ভেরিফিকেশন পত্র, মেডিকেল ছাড়পত্র, কলেজের প্রত্যয়নপত্রসহ যাবতীয় প্রমাণপত্রের মূল কপি তলব করেছে আদালত।

মামলার বরাত দিয়ে তিনি জানান, রাজাপুর উপজেলার টিঅ্যান্ডটি সড়কের প্রয়াত শাজাহান আলীর ছেলে স্থানীয় বড়ইয়া ডিগ্রি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মোহাম্মদ ইমরান হোসেন আদনানকে গত ৭ ডিসেম্বর রাত ১১ টার দিকে বাসা থেকে থানায় ডেকে পাঠান ওসি শেখ মুনীর উল গীয়াস। তারা থানায় নিয়ে আদনানকে চোর বলে আখ্যায়িত করেন।

“তারপর চুরি মামলায় জোরপূর্বক তার স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করা হয়। এতে রাজি না হওয়ায় ওসির কক্ষে আটকে মারধর করে পুলিশ। এ সময় ওসিকে সহযোগিতা করেন এসআই নজরুল ইসলাম ও এএসআই সঞ্জীবন বালা।”

মারধরের এক পর্যায় আদনান সংজ্ঞা হারিয়ে ফেললে তাকে রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মো. আজম তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বললে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আবুল খায়ের মাহামুদ রাসেলকে ম্যানেজ করে তাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই রাখেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানান এ আইনজীবী।।

তিনি জানান, পরদিন ৮ ডিসেম্বর স্থানীয় শিক্ষক ওয়ালিউর রহমানের বাসায় চুরির মামলায় সন্দেহভাজন আসামি দেখিয়ে আদনানকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

“কারাগারেও আদনান হাসপাতালে ছিল। পরে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে গত ২৩ জানুয়ারি মুক্তি পান তিনি।”

এ ব্যাপারে রাজাপুর থানার ওসি শেখ মুনীর উল গীয়াস বলেন, “আদনানকে আটক করার পর থেকেই সে অসুস্থ থাকার অভিনয় করছিল। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করাও হয়নি, মারধরের প্রশ্নই আসে না।”