অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আবু সাফায়াৎ মুহম্মদ শাহেদুল ইসলাম শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টায় প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন বলে জেলা প্রশাসক জয়নাল আবেদীন জানিয়েছেন।
তদন্তে পাওয়া বিষয়বস্তু নিয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি তিনি।
তবে তদন্ত কর্মকর্তা শাহেদুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শাহ আরপিন টিলা কেটে অবৈধভাবে পাথর তোলায় ৪৭ জন জড়িত বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে স্থানীয় পুলিশ, প্রশাসন ও কিছু গণমাধ্যম কর্মী ‘পরোক্ষভাবে’ জড়িত থাকার প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি।
“ঘটনার বিষয়ে স্থানীয়রা মুখ খুলতে চায় না বলে অনেক বিষয়ে সুস্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে অধিকতর তদন্ত প্রয়োজন।”
গত ২৩ জানুয়ারি শাহ আরেফিন টিলা ধসে পাঁচ শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনার পরপরই এডিএম শাহেদুলকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করে জেলা প্রশাসন।
তদন্ত-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছেন মাটিচাপা পড়ে শ্রমিক নিহত হওয়া ও লাশ সরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে থানা-পুলিশের ভূমিকা রয়েছে।
থানা-পুলিশের সঙ্গে পাথর ব্যবসায়ীদের সুসম্পর্কের কারণেই ভোলাগঞ্জ ও শাহ আরপিন টিলায় ‘বোমা মেশিন’ দিয়ে পাথর উত্তোলন বন্ধ হচ্ছে না।
তদন্ত দলের প্রধান শাহেদুল বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে শাহ আরেফিন টিলা এলাকায় অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন হলেও কেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলো না, এটিই মূলত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ওসির বিরুদ্ধে সন্দেহকে পাকাপোক্ত করে।
“অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকারীদের সঙ্গে ইউএনও এবং ওসির কোনো সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কি না, সে ব্যাপারে অধিকতর তদন্তের প্রয়োজন।”
লাশ দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার ঘটনায় নিজের কোনো যোগসূত্র ছিল না দাবি করে ইউএনও মুহা. মাছুম বিল্লাহ বলেন, অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালিত হয়। প্রশাসন সব সময় তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার।
ওসি বায়েছ আলম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “লাশ দ্রুততম সময়ের মধ্যে শ্রমিকেরাই সরিয়ে নিয়েছেন। তবে বিষয়টি জানার পর আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ভূমিকা রেখেছি। এর সঙ্গে আমার কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা নেই।”