‘শীত যাছে তো কহে-বুলে যাছে’

মাঘের শেষে শীত এসেছে পঞ্চগড়ে। গত তিন দিন ধরে এ মুলুকে সূর্যের মুখ দেখা যাচ্ছে না। ওদিকে আসছে উত্তরের হিমেল হাওয়া।

সাইফুল আলম বাবু পঞ্চগড় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Feb 2017, 05:21 AM
Updated : 3 Feb 2017, 03:49 AM

হঠাৎ শীতে পথেঘাটে লোক চলাচল কমে গেছে অনেকটাই। বাড়ছে শীতজনিত রোগবালাই।

পঞ্চগড় শহরের ইসলামবাগ মহল্লার কাপড়ের দোকানি আরিফ হোসেন বলেন, “কয়দিন আগেও দিনের বেলা গরমের চোটে মোটা কাপড় পরা যেত না। আর এখন বাজারে মানুষের যাতায়াতই কমে গেছে।

“আগে সকাল ১০টায় দোকানে যেতাম। এখন যাচ্ছি প্রায় ১২টায়। আবার ফিরে আসছি সন্ধ্যার পরপর, যেখানে আগে ফিরতাম রাত ১০টার পর।”

শহরের নিউ মৌচাক হোটেলের সামনে বুধবার বিকালে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছিলেন রিকশাচালক ওবায়দুল গণি।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হামরা মনে কইচ্ছিনি শীত বোধহয় শ্যাষ। এইবার আর অনং শীত হবা না হায়। কিন্তু এলা দেখছি শীত যাছে তো কহে-বুলে যাছে।”

বৃহস্পতিবার সকাল নাগাদ তাপমাত্রাও কমেছে অনেকখানি।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ দপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ অতির উদ্দীন জানান, সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ০৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার সকালে এটা ছিল ১৩ দশমিক ০৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার ছিল আরও বেশি।

“গত ১৪ জানুয়ারি ছিল এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।”

হঠাৎ শীতে রোগবালাইও বাড়ছে।

রাজনগরের গৃহিণী রাজিয়া আক্তার জানান, মঙ্গলবার থেকে তার চার বছরের মেয়ে রাহেনার বমি ও পাতলা পায়খানা হচ্ছে। হাসপাতালে ভর্তির পর অবস্থার উন্নতি হয় বলে তিনি জানান।

সদর হাসপাতালে বুধবার সারাদিন ২২ জন রোগী ভর্তি হয়েছে বলে জানান সিনিয়র স্টাফ নার্স মুনিরা পারভীন মনি।