শাহ মখদুম থানার ওসি জিল্লুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার রাতের নগরীর নওদাপাড়া এলাকার আরবান হেলথ কেয়ারে এ ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে হাসপাতালটির আয়া লাজ খাতুনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে এখনও উদ্ধার হয়নি নবজাতকটি।
আরবান হেলথ কেয়ারের ম্যানেজার আপেল জানান, ডাশমারী আরবান কেয়ার ইউনিটে মুক্তি খাতুন নামে এক প্রসূতি ভর্তি হন। ওই ইউনিটে সিজারের ব্যবস্থা না থাকায় তাকে নওদাপাড়া ইউনিটে পাঠানো হয়।
“প্রসূতি মুক্তিকে সিজারের জন্য আমাদের আয়া লাজ খাতুন ও এক নারী হাসপাতালের নওদাপাড়া ইউনিটে নিয়ে যায়। সন্ধ্যায় মুক্তি পুত্র সন্তান জন্ম দেন। পরে কৌশলে ওই নারী নবজাতকটি চুরি করে নিয়ে যায়।”
ওসি জিল্লুর বলেন, এ ঘটনায় শুক্রবার প্রসূতির মা রোজিনার করা মামলায় আয়া লাজ খাতুনকে গ্রেপ্তার করা হয়। নবজাতক উদ্ধারে অভিযান চলছে।
রোজিনা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আয়া লাজ খাতুনের সঙ্গে থাকার কারণে ওই নারীকে আরবান ক্লিনিকের কর্মী বলে আমরা ধরে নিয়েছিলাম। শিশুটিকে কোলে নেওয়া, গরম কাপড় জড়িয়ে দেওয়াসহ সব কাজই সে করেছে।
“শিশু নিঁখোজ হওয়ার পর আমরা জানতে পারলাম ওই নারী আরবান ক্লিনিকের কেউ না।”