নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন সোমবার সকাল ১০টা ৫ মিনিটে জনাকীর্ণ আদালতে এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
তিন বছর আগে নারায়ণগঞ্জে কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণের পর নৃশংসভাবে হত্যা করে লাশ শীতলক্ষ্যায় ডুবিয়ে দেওয়ার ওই ঘটনা পুরো বাংলাদেশকে নাড়িয়ে দেয়। ওই হত্যাকাণ্ডে এলিট বাহিনী র্যাবের কয়েকজনের জড়িত থাকার তথ্য বেরিয়ে এলে বিষয়টি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও শিরোনাম হয়।
বিচারক সৈয়দ এনায়েত হোসেন বহু প্রতীক্ষিত এ মামলার রায় ঘোষণা করতে সময় নেন মাত্র কয়েক মিনিটে। আসামিদের সাজার অংশটিই কেবল তিনি পড়ে শোনান।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা নূর হোসেন, ওই হত্যাকাণ্ডের সময় র্যাব-১১ এর অধিনায়কের দায়িত্বে থাকা লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন; লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাসুদ রানাসহ ২৩ আসামি রায়ের সময় কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। বাকি ১২ আসামি এখনও পলাতক।
বিচারক রায় পড়া শুরু করলে নূর হোসেনের দুই সহযোগী কাঁদতে শুরু করেন। নূর হোসেন এ সময় তাদের ‘কিছু হবে না’ বলে সান্ত্বনা দেন।
এ মামলার আসামি র্যাবের সাবেক দুই অধস্তনকর্মী তাদের ‘এ পরিণতির জন্য’ সিনিয়র কর্মকর্তাদের দুষতে থাকেন। এ সময় তারেক সাঈদকে উদ্দেশ্য করে তাদের একজনকে বলতে শোনা যায়, “শালা, তোদের জন্য আজকে আমাদের এই অবস্থা।”
রায় ঘোষণার পর স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলামের সমর্থক এবং আইনজীবী চন্দন সরকারের সমর্থকরা আদালতের বাইরে উল্লাসে ফেটে পড়েন।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা সন্তুষ্ট। কিন্তু আমরা চাই, এই রায় দ্রুত কার্যকর হোক। হাই কোর্টে যাতে এই রায় বহাল থাকে।
চন্দন সরকারের মেয়ে সুস্মিতা সরকারও রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তিনিও বলেন, আসামিদের সাজা দ্রুত কার্যকর হোক- এটাই তাদের চাওয়া।
তবে নূর হোসেন, তারেক সাঈদ ও রানার আইনজীবীরা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা বলেছেন।
চন্দন সরকারের পরিবারের হয়ে এ মামলা লড়েন আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন খান। রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, “এই রায়ে আমরা আনন্দিত। আমরা খুশি হয়েছি। ৩৫ জন আসামির মধ্যে সবার মৃত্যুদণ্ড হলে আরও বেশি খুশি হতাম।”
নারায়ণগঞ্জ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ওয়াজেদ আলী খোকন বলেন, যে নয়জনের ফাঁসির রায় হয়নি, পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়ার পর তা দেখে প্রয়োজনে আপিল করার সিদ্ধান্ত নেবেন তারা।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, অপরাধ যেই করুন, তাকে বিচারের আওতায় এনে সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব, আর সরকার সেই দায়িত্ব পালন করতে পেরেছে।
নিম্ন আদালতের এই রায় উচ্চ আদালতেও বহাল থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
এ রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেছেন, এই রায় ‘মানুষের আতঙ্ক ও অসহায়ত্ব’ দূর করতে ভূমিকা রাখবে বলে তিনি মনে করেন।
যার যেমন সাজা
আসামি | পরিচয় | সাজা |
নূর হোসেন | সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর | মৃত্যুদণ্ড |
তারেক সাঈদ মোহাম্মদ | র্যাব-১১ এর সাবেক অধিনায়ক, সাবেক লেফটেন্যান্ট কর্নেল | মৃত্যুদণ্ড |
আরিফ হোসেন | র্যাবের ক্যাম্প কমান্ডার, সাবেক মেজর | মৃত্যুদণ্ড |
মাসুদ রানা | র্যাবের ক্যাম্প কমান্ডার, সাবেক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার | মৃত্যুদণ্ড |
এমদাদুল হক | হাবিলদার | মৃত্যুদণ্ড |
আরিফ হোসেন | আরওজি-১ | মৃত্যুদণ্ড |
হীরা মিয়া | ল্যান্স নায়েক | মৃত্যুদণ্ড |
বেলাল হোসেন | ল্যান্স নায়েক | মৃত্যুদণ্ড |
আবু তৈয়ব | সিপাহি | মৃত্যুদণ্ড |
মো. শিহাব উদ্দিন | কনস্টেবল | মৃত্যুদণ্ড |
পুর্নেন্দু বালা, | এসআই | মৃত্যুদণ্ড |
রুহুল আমিন | কর্পোরাল | অপহরণের দায়ে ১০ বছর |
বজলুর রহমান | এএসআই | আলামত সরানোর দায়ে ৭ বছর |
আলী মোহাম্মদ | নূর হোসেনের সহযোগী | মৃত্যুদণ্ড |
মিজানুর রহমান দিপু | নূর হোসেনের সহযোগী | মৃত্যুদণ্ড |
রহম আলী | নূর হোসেনের সহযোগী | মৃত্যুদণ্ড |
আবুল বাশার | নূর হোসেনের সহযোগী | মৃত্যুদণ্ড |
নাসির উদ্দিন | হাবিলদার | আলামত সরানোর দায়ে ৭ বছর |
আবুল কালাম আজাদ | এএসআই | অপহরণের দায়ে ১০ বছর |
নুরুজ্জামান | সৈনিক | অপহরণের দায়ে ১০ বছর |
বাবুল হাসান | কনস্টেবল | অপহরণের দায়ে ১০ বছর |
আসাদুজ্জামান নূর | সৈনিক | মৃত্যুদণ্ড |
মোর্তুজা জামান চার্চিল | নূর হোসেনের সহযোগী | মৃত্যুদণ্ড |
--------পলাতক ১২ আসামি-------- | ||
মো. মোখলেছুর রহমান | কর্পোরাল | অপহরণের দায়ে ১০ বছর |
আব্দুল আলীম | সৈনিক | মৃত্যুদণ্ড |
মহিউদ্দিন মুন্সী | সৈনিক | মৃত্যুদণ্ড |
আল আমিন শরীফ | সৈনিক | মৃত্যুদণ্ড |
তাজুল ইসলাম | সৈনিক | মৃত্যুদণ্ড |
এনামুল কবীর | সার্জেন্ট | মৃত্যুদণ্ড |
কামাল হোসেন | এএসআই | অপহরণের দায়ে ১০ বছর |
হাবিবুর রহমান | কনস্টেবল | অপহরণের দায়ে ১০ বছর, আলামত সরানোর দায়ে ৭ বছর |
সেলিম | নূর হোসেনের সহযোগী, বর্তমানে ভারতের কারাগারে বন্দি | মৃত্যুদণ্ড |
সানাউল্লাহ ছানা | নূর হোসেনের সহযোগী | মৃত্যুদণ্ড |
শাহজাহান | নূর হোসেনের ম্যানেজার | মৃত্যুদণ্ড |
জামাল উদ্দিন | নূর হোসেনের সহযোগী | মৃত্যুদণ্ড |
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল দুপুরে নারায়ণগঞ্জ আদালতে একটি মামলায় হাজিরা দিয়ে ঢাকার ফেরার পথে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ফতুল্লার লামাপাড়া থেকে অপহরণ করা হয় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ও ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু সিরাজুল ইসলাম লিটন, সহযোগী মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, স্বপনের গাড়ি চালক জাহাঙ্গীরকে ।
ওই ঘটনা দেখে ফেলায় নজরুলের গাড়ির পেছনে থাকা আইনজীবী চন্দন সরকার ও তার গাড়িচালক ইব্রাহিমও অপহৃত হন।
তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে মেলে ছয়জনের লাশ। ১ মে নজরুলের বন্ধু সিরাজুল ইসলাম লিটনের লাশও নদীতে ভেসে ওঠে। প্রত্যেকের পেটে ছিল আঘাতের চিহ্ন; প্রতিটি লাশ ইটভর্তি দুটি করে বস্তায় বেঁধে নদীতে ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
লাশ উদ্ধারের পর নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি এবং চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল দুটি মামলা করেন, যার তদন্ত চলে একসঙ্গে।
দুই মামলার তদন্ত শেষে নারায়ণগঞ্জের সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন ও র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ মণ্ডল।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, এলাকায় আধিপত্য নিয়ে বিরোধ থেকে কাউন্সিলর নজরুল ইসলামকে হত্যার এই পরিকল্পনা করেন আরেক কাউন্সিলর নূর হোসেন। আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে র্যাব সদস্যদের দিয়ে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়।
আসামিদের মধ্যে র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ১৭ জন এবং নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের তৎকালীন ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নূর হোসেনের পাঁচ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। ঘটনার ১৭ মাস পর মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনকে ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
নারায়ণগঞ্জ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ওয়াজেদ আলী খোকন জানান, আসামিদের মধ্যে ২১ জন ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তদন্ত চলাকালে নূর হোসেন ভারতে থাকায় তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সুযোগ পায়নি পুলিশ।
গ্রেপ্তার র্যাব সদস্যরা আদালতে যে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন, তাতে হত্যাকাণ্ডের ভয়ঙ্কর বিবরণ উঠে আসে। তারা জানান, অপহরণের পর সাতজনকে চেতনানাশক ইনজেকশন দিয়ে অচেতন করা হয়। পরে মুখে পলিথিন পেঁচিয়ে হত্যা করা হয় শ্বাস রোধ করে।
লাশগুলো শীতলক্ষ্যায় ফেলে দেওয়ার সময় ডুবে যাওয়া নিশ্চিত করতে বেঁধে দেওয়া হয় ইটের বস্তা। আর লাশ যাতে ফুলে না ওঠে সেজন্য চিরে ফেলা হয় লাশে পেট।
জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন ২০১৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলার আসামিদের বিচার শুরু করেন। ৩৮টি কার্যদিবসে রাষ্ট্রপক্ষে মোট ১৬৪ জনের সাক্ষ্য শোনে আদালত; যাদের মধ্যে ৬০ জন প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে জবানবন্দি দেন।
দুই পক্ষের যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে গত ৩০ নভেম্বর বিচারক ২০১৭ সালের ১৬ জানুয়ারি রায়ের জন্য দিন ঠিক করে দেন।
এ রায় ঘিরে সকাল থেকে নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণ ও আশপাশের এলাকায় নেওয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শফিউদ্দিন জানান, আদালত এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পাঁচ শতাধিক পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করেন। সাইনবোর্ড এলাকা থেকে আদালত চত্বর পর্যন্ত কঠোর নিরাপত্তার বলয় গড়ে তোলা হয়।
আদালতে ঢোকার মুখে বসানো হয় আর্চওয়ে; সেখানে সবাইকে তল্লাশি করা হয়। আইনজীবী এবং বাদী ও আসামিপক্ষের স্বজনদের ছাড়া কাউকে আদালতে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
গ্রেপ্তার ২৩ আসামির মধ্যে ১৮ জন ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে। সকাল ৯টার দিকে তাদের প্রিজন ভ্যানে করে আদালতের হাজতখানায় নিয়ে আসা হয়। আর নূর হোসেন, তিন সাবেক র্যাব কর্মকর্তাসহ গুরুত্বপূর্ণ পাঁচ আসামিকে তিনটি প্রিজন ভ্যানে করে কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে নিয়ে আসা হয় সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে।
ঘড়িতে ১০টা বাজার ঠিক আগে আগে আসামিদের আদালত কক্ষে নিয়ে কাঠগড়ায় তোলা হয়। এর পরপরই এজলাসে আসেন বিচারক, আদালত কক্ষে নামে পিন পতন নীরবতা।
সাত খুনের ঘটনায় দুটি মামলা হলেও বিচার চলে একসঙ্গে। বিচারক একটি মামলা হিসেবে বিবেচনা করেই রায় ঘোষণা করেন।আসামিদের অপরাধের বিশ্লেষণ ও পর্যবেক্ষণ অংশ বাদ দিয়ে কেবল সাজার অংশটি মাত্রা কয়েক মিনিটের মধ্যে পড়ে শোনান বিচারক।
এ মামলায় দণ্ডিত ৩৫ আসামির মধ্যে ২৫ জনই ছিলেন র্যাব সদস্য। ফৌজদারি অপরাধে একসঙ্গে এত র্যাব সদস্যের সাজা এর আগে আর হয়নি।
তাদের মধ্যে ১৫ জন সেনাবাহিনী, দুইজন নৌবাহিনী ও আটজন পুলিশ বাহিনীর সদস্য হিসেবে নারায়ণগঞ্জে র্যাব-১১ তে নিয়োজিত ছিলেন। সাত খুনের মামলা হওয়ার পর তাদের সবাইকে চাকরিচ্যুত করা হয়।
এই ২৫ জনের মধ্যে তিন কর্মকর্তাসহ ১৪ জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় এসেছে আদালতে। বাকি নয়জনকে বিচারক বিভিন্ন মেয়াদের সাজা দিয়েছেন।
মামলার প্রধান আসামি নারায়ণগঞ্জের সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন ও তার নয় সহযোগীর সবার সর্বোচ্চ সাজার রায় দিয়েছেন বিচারক।
এর আগে ২০১১ সালে চট্টগ্রামের তালসারা দরবার শরিফের প্রায় ২ কোটি টাকা লুটের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চট্টগ্রামের র্যাব-৭-এর অধিনায়ক জুলফিকার আলী মজুমদারকে চাকরিচ্যুত করা হয়। ওই মামলা এখনও চট্টগ্রামের আদালতে বিচারাধীন।
বাংলাদেশের ইতিহাসে একসঙ্গে ২৬ জনের বেশি আসামির ফাঁসির রায় এসেছে কেবল পিলখানা হত্যা মামলায়। ওই ঘটনায় ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৬১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, “আমার জানা মতে, এটি (সাত খুন) দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মামলা, যেখানে ২৬ জনের ফাঁসির রায় হলে। নিম্ন আদালতের দেওয়া ফঁসির রায় কার্যকর হয় না, যতক্ষণ না পর্যন্ত হাই কোর্ট তা কনফার্ম (অনুমোদন) করেন।”
আরও পড়ুন