বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে বলে স্বজনরা জানান।
তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। তিনি স্ত্রী ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন।
মোস্তফা ফারুকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তিনি বলেছেন,
“তার মৃত্যুতে দেশ একজন বিজ্ঞ কূটনীতিক, মুক্তিযোদ্ধা ও দেশপ্রেমিক নেতাকে হারাল।”
মাহমুদ আলী ও মোস্তফা ফারুক পাকিস্তান ফরেন সার্ভিসে একই সময়ে যোগ দিয়েছিলেন। একাত্তরে তারা দুজনই একসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন।
পেশাদার কূটনীতিক মোস্তফা ফারুক ২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর শেখ হাসিনার সরকারে মন্ত্রী হয়েছিলেন।
তার মামাত ভাই নাসিমুল হাবিব শিপার ও ফুপাতো ভাই গ্রিন ওয়ার্ল্ড এনভায়রনমেন্ট ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আশিক মাহমুদ সবুজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন মোস্তফা ফারুক।
সবুজ বলেন, জানাজার জন্য বৃহস্পতিবার মোস্তফা ফারুকের মরদেহ জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় নেওয়া হতে পারে।
মোস্তফা ফারুক ১৯৪২ সালের ২১ মার্চ যশোরের ঝিকরগাছা শহরের কৃষ্ণনগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা সেকেন্দার মোহাম্মদ মোসলেম ও মা আমেনা খাতুন।
আট ভাই-বোনের মধ্যে তৃতীয় এবং ভাইদের মধ্যে দ্বিতীয় ছিলেন মোস্তফা ফারুক। তার বড় ভাই মোস্তফা আনোয়ার মোহাম্মদ যুগ্মসচিব ছিলেন।
মোস্তফা ফারুক ১৯৭৯ সালে নিরাপত্তা পরিষদে বাংলাদেশের বিকল্প প্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করেন। ওই বছরই তাকে ভারতে ডেপুটি হাইকমিশনার নিয়োগ দেওয়া হয়।
১৯৮৬ সালে তিনি সার্কের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯০ সালে মিয়ানমারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত পদে নিয়োগ পান তিনি।
১৯৯৩ সালে ভিয়েতনামে রাষ্ট্রদূত হিসেবে যোগ দেন মোস্তফা ফারুক। ১৯৯৬-৯৯ সাল পর্যন্ত রাশিয়াতে এবং ১৯৯৯-২০০১ সাল পর্যন্ত দিল্লিতে রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
২০০১ সালে চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার সাত বছর পর নবম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে জয়ী হন তিনি। ২০১২ সালে তিনি বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রীর দায়িত্ব পান।