রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ কে এম নূর-উন-নবীর বিরুদ্ধে টেন্ডারবাজিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠার পর তদন্ত শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন।
Published : 26 Dec 2016, 03:35 PM
অধ্যাপক আখতার হোসেনের নেতৃত্বে মঞ্জুরি কমিশনের তিন সদস্যের তদন্ত দল সোমবার সকালে কাজ শুরু করে।
তদন্ত দলের অন্য দুই সদস্য হলেন - মঞ্জুরি কমিশনের অতিরিক্ত পরিচালক ফখরুল ইসলাম ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মিজানুর রহমান।
এর আগের উপাচার্যকে দুর্নীতির অভিযোগে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তাবিউর রহমান প্রধান অভিযোগ করেন, “বাংলাদেশে কোনো দৃষ্টান্ত নেই যে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য টেন্ডারবাজির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। কিন্তু আমাদের উপাচার্য সেই কাজ করেছেন। আমাদের কাছে তার প্রমাণ রয়েছে।”
অন্যান্য অভিযোগ সম্পর্কে শিক্ষক সমিতির সভাপতি আর এম হাফিজুর রহমান বলন, “বর্তমান উপাচার্য নূর-উন-নবী মাসের বেশির ভাগ সময় ঢাকায় অবস্থান করায় একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়।
“উপাচার্য নূর-উন-নবী একাই ১৭টি গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন, মিথ্যা মামলা দিয়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের হয়রানি করছেন। তিনি উপাচার্য হিসেবে যোগদানের তিন বছর আট মাসে কোনো সিনেট সভা হয়নি।”
এসব অভিযোগের পর গত ২ অগাস্ট মঞ্জুরি কমিশন তদন্ত কমিটি গঠন করে বলে জানান শিক্ষকনেতা হাফিজুর রহমান।
তবে উপাচার্য নূর-উন-নবী বলছেন, “আমি বিশ্ববিদ্যালয় ও মঞ্জুরি কমিশনের নিয়মের মধ্যে থেকেই সব কাজ করেছি। শিক্ষক সমিতি কী অভিযোগ করেছে জানি না।”
তদন্ত কমিটির প্রধান ও মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য আখতার হোসেন বলেন, “সবার অভিযোগ শুনছি। মঙ্গলবারও অভিযোগ শুনব। এরপর মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করব।”
উপাচার্য নূর-উন-নবী ২০১৩ সালের ৬ মে উপাচার্য হিসেবে যোগ দেন। এর একদিন আগে নানা অভিযোগে উপাচার্যের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় মুহাম্মদ আবদুল জলিল মিয়াকে।
দুর্নীতি, অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে জলিল মিয়া ও তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার শাহজাহান আলী মণ্ডলের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ১২ মে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন।
২০০৮ সালে রংপুর ক্যাডেট কলেজ সংলগ্ন পার্কের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়।