এই ঘটনায় ইটভাটা মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বন বিভাগ। তবে কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
শুক্রবার দুপুরে জেলা শহরের পশ্চিম বালাঘাটা বড়পুলে ‘মকসুদ কোম্পানির’ বাড়ির সামনে সেগুন বাগানে কাঠগুলো পাওয়া যায় বলে পাল্পউড প্ল্যান্টেশনের (বাগান বিভাগ) হেডকোয়ার্টার্স রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন জানিয়েছেন।
স্থানীয় লালচুং থাং বম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মকসুদ কোম্পানি প্রতিবছর লাখ-লাখ ঘটফুট বিভিন্ন জাতের গাছ কেটে জ্বালানি কাঠ হিসেবে পাচার করে।”
এছাড়া মকসুদ কোম্পানি প্রতিবছর অবৈধভাবে কয়েক লাখ ঘনফুটের জ্বালানি কাঠ তার ইটভাটায় পুড়েছেন, বলেন লালচুং।
কাঠগুলো বালাঘাটার বিভিন্ন ডিপো ও করাত কলে পৌঁছার পর সেগুলো বৈধ হয়ে যায়, বলেন হ্লাচিংমং।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বন ও ভূমি সংরক্ষণ আন্দোলন কমিটির বান্দরবান অংশের চেয়ারপারসন জুয়ামলিয়ান আমলাই বলেন, “প্রতিবছর শীত মৌসুমে বন বিভাগকে ম্যানেজ করেই লাখ লাখ ঘনফুট জ্বালানি কাঠ পাচার হয় এবং ইটভাটাগুলোতে পোড়ানো হয়।
এ বিষয়ে মকসুদ কোম্পানির মালিক মকসুদ বলেন, “সেগুন বাগানের ভেতরে লুকিয়ে রাখা জ্বালানি কাঠগুলো বনবিভাগকে অবহিত করে মজুদ রাখা হয়েছে।”
পাল্পউড প্ল্যান্টেশন বিভাগীয় বনকর্মকর্তা বিপুল কৃষ্ণ দাশ বলেন, পাচার রোধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কোনো ধরনের অবৈধ কাঠ ও জ্বালানি কাঠ পাচার করতে দেওয়া হবে না।