২৭টি ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন ১৫৬ জন। এর মধ্যে ১৩টিতে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থকরা; আর বিএনপির সমর্থকরা জয়ী হয়েছেন ১২টি ওয়ার্ডে। জাতীয় পার্টি ও বাসদ পেয়েছে একটি করে ওয়ার্ড।
সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরের নয়টি পদে ৩৮ জন এবার ভোটের লড়াইয়ে ছিলেন। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থক ছয়জন এবং বিএনপি সমর্থিত তিন প্রার্থী বিজয়ী হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের দ্বিতীয় তলার এ নির্বাচনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে বৃস্পতিবার রাতে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জমান তালুকদার বেসরকারিভাবে বিজয়ী কাউন্সিলরদের নাম ঘোষণা করেন।
ওয়ার্ড কাউন্সিলর
১ নম্বর ওয়ার্ড: মো. ওমর ফারুক, আওয়ামী লীগ
২ নম্বর ওয়ার্ড: ইকবাল হোসেন, বিএনপি; সাত খুনের মামলায় তার নাম এলেও পরে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
৩ নম্বর ওয়ার্ড: শাহ্জালাল বাদল; এই ছাত্রলীগ নেতা সাত খুন মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনের ভাতিজা। দ্বিতীয়বারের মতো তিনি কাউন্সিলর নির্বাচিত হলেন।
s৪ নম্বর ওয়ার্ড: আরিফুল হক হাসান, আওয়ামী লীগ।
৫ নম্বর ওয়ার্ড: গোলাম মুহাম্মদ সাদরিল; তিনি বিএনপির সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের ছেলে।
৬ নম্বর ওয়ার্ড: মতিউর রহমান মতি; সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের আহ্বায়ক তিনি।
৭ নম্বর ওয়ার্ড: আলী হাসান আলা। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দ্বিতীয়বার কাউন্সিলর হলেন।
৮ নম্বর ওয়ার্ড: রুহুল আমিন। স্থানীয় এই আওয়ামী লীগ নেতাও দ্বিতীয়বার কাউন্সিলর হলেন।
৯ নম্বর ওয়ার্ড: ইস্রাফিল প্রধান। এই বিএনপির নেতা নির্বাচিত হয়েছেন দ্বিতীয়বারের মতো।
১০ নম্বর ওয়ার্ড: ইফতেখার আলম খোকন, আওয়ামী লীগ।
১১ নম্বর ওয়ার্ড: জমশের আলী ঝন্টু; স্থানীয় এই বিএনপি নেতা গত ২৪ বছর ধরে কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড মেম্বার।
১২ নম্বর ওয়ার্ড: শওকত হাশেম শকু। এই বিএনপি নেতা নির্বাচিত হয়েছেন তৃতীয়বার।
১৩ নম্বর ওয়ার্ড: মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ; তিনি বিএনপি নেতা তৈমূর আলম খন্দকারের ভাই এবং মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক। তিনিও তৃতীয়বারের মত নির্বাচিত হলেন।
১৪ নম্বর ওয়ার্ড: শফিউদ্দিন প্রধান; আওয়ামী লীগ। দ্বিতীয়বারের মতো কাউন্সিলর হলেন তিনি।
১৫ নম্বর ওয়ার্ড: অসিৎ বরণ বিশ্বাস, বাসদ। নির্বাচিত হলেন দ্বিতীয়বার।
১৬ নম্বর ওয়ার্ড: নাজমুল আলম সজল, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি।
১৭ নম্বর ওয়ার্ড: মো. আব্দুল করিম বাবু ওরফে ডিশ বাবু, আওয়ামী লীগ।
১৮ নম্বর ওয়ার্ড: কবির হোসাইন, আওয়ামী লীগ।
১৯ নম্বর ওয়ার্ড: ফয়সাল আহাম্মদ সাগর, আওয়ামী লীগ। নির্বাচিত হয়েছেন দ্বিতীয়বার।
২০ নম্বর ওয়ার্ড: গোলাম নবী মুরাদ, বিএনপি
২১ নম্বর ওয়ার্ড: হান্নান সরকার, বিএনপি। দ্বিতীয়বার কাউন্সিলর নির্বাচিত।
২২ নম্বর ওয়ার্ড: সুলতান আহম্মেদ ভুঁইয়া, বিএনপি। তিনিও দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হয়েছেন।
২৩ নম্বর ওয়ার্ড: সাইফুদ্দিন আহম্মদ দুলাল। আওয়ামী লীগের এই স্থানীয় নেতা দ্বিতীয়বার জয়ী হলেন।
২৪ নম্বর ওয়ার্ড: আফজাল হোসেন। জাতীয় পার্টি এই নেতাও নির্বাচিত হয়েছেন দ্বিতীয়বার।
২৫ নম্বর ওয়ার্ড: এনায়েত হোসেন, বিএনপি। দ্বিতীয়বার কাউন্সিলর নির্বাচিত।
২৬ নম্বর ওয়ার্ড: মো. সামছুজ্জোহা, বিএনপি
২৭ নম্বর ওয়ার্ড: কামরুজ্জামান বাবুল, বিএনপি
সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর
১, ২, ৩ নম্বর ওয়ার্ড: মাকসুদা মোজাফফর, আওয়ামী লীগ। দ্বিতীয়বার এ পদে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
৪, ৫, ৬ নম্বর ওয়ার্ড: মনোয়ারা বেগম, আওয়ামী লীগ
৭, ৮, ৯ নম্বর ওয়ার্ড: আয়েশা আক্তার দিনা, বিএনপি
১০, ১১, ১২ নম্বর ওয়ার্ড: মিনায়ারা বেগম। আওয়ামী লীগ সমর্থিত এই প্রার্থী কাউন্সিলর হলেন তৃতীয়বারের মত।
১৩, ১৪, ১৫ নম্বর ওয়ার্ড: শারমিন হাবিব বিনি, আওয়ামী লীগ। তিনি দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হলেন।
১৬, ১৭, ১৮ নম্বর ওয়ার্ড: আফসানা আফরোজ, বিএনপি।
১৯, ২০, ২১ নম্বর ওয়ার্ড: শিউলী নওশাদ, আওয়ামী লীগ।
২২, ২৩, ২৪ নম্বর ওয়ার্ড: শাওন অঙ্কন, আওয়ামী লীগ।
২৫, ২৬, ২৭ নম্বর ওয়ার্ড: হোসনে আরা, বিএনপি।