মৃত হেনা বেগম (৩৫) কালিয়াকৈর উপজেলার বলিয়াদি গাংপাড়া এলাকার আব্দুল কুদ্দুসের স্ত্রী।
সোমবার কালিয়াকৈর সেন্ট্রাল হাসপাতালে প্রসূতি হেনার অস্ত্রোপচার হয়। পরদিন সাভারের এনাম মেডিকেলে তার মৃত্যু হয় বলে আব্দুল কুদ্দুস জানান।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই চিকিৎসক।
প্রসূতির স্বামী কুদ্দুস বলেন, রোববার অন্তঃস্বত্তা হেনা বেগমকে কালিয়াকৈর সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার সকালে তাকে অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসক আতিকুর রহমান ওরফে নোমান।
“অস্ত্রোপাচারের পর আমার স্ত্রীর রক্তক্ষরণ হতে শুরু হয়। কোনো অবস্থাতেই রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় রাতে তাকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। মঙ্গলবার সকালে সেখানে হেনার মৃত্যু হয়।”
কালিয়াকৈর সেন্ট্রাল হাসপাতালের চিকিৎসক আতিকুর রহমানের ভুল চিকিৎসায় হেনার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ কুদ্দুস ও তার পরিবারের সদস্যদের।
মৃতের চাচি ফিরোজা বেগম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সিজারের পর থেকেই হেনার অবস্থা ভালো ছিল না। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের বিষয়টি ডাক্তার-নার্সদের জানালেও তারা কর্ণপাত করেননি। রোগীর অবস্থা নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলেও হাসপাতাল থেকে ছাড়তে চায়নি কর্তৃপক্ষ।”
‘ভুল চিকিৎসায়’ প্রসূতির মৃত্যুর বিষয়টি সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক আতিকুর রহমান নোমান।
এ ব্যাপারে কথা বলতে কালিয়াকৈর সেন্ট্রাল হাসপাতালের মালিক পক্ষের কাউকে পাওয়া যায়নি।
কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. খায়রুজ্জামান বলেন, ভুল চিকিৎসার অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিষয়টি নিয়ে কেউ অভিযোগ করেনি বলে জানিয়েছেন কালিয়াকৈর থানার ওসি আব্দুল মোতালেব।