বাসে র্যাববের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ডাকাত নিহত

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা বাস ডাকাতির সময় র্যা বের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক ডাকাত নিহত হয়েছে।

কুষ্টিয়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Dec 2016, 11:51 AM
Updated : 12 Dec 2016, 11:59 AM

সোমবার দুপুররে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাযব-১২ এর কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কমান্ডার (অপারেশন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন ফারুকি জানান, রোববার রাত সাড়ে ১২টায় কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে যাওয়া ঢাকাগামী হানিফ পরিবহনের এসি বাসে ডাকাতদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের এ ঘটনা ঘটে।

নিহত সালামের (৩৫) বিরুদ্ধে পাবনা জেলার বিভিন্ন থানায় হত্যা ও ডাকাতি মামলা একাধিক মামলার রয়েছে।

এ সময় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আটক চার ডাকাতকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

আহতরা হলেন ঈশ্বরদী উপজেলার বাঘাইল গ্রামের মৃত মহিরের ছেলে খোকন (৪০) এবং মৃত. আফাজ উদ্দিনের ছেলে আয়নাল (৪৮), পাবনার বেড়া উপজেলার কৈটোলা গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে দেলোয়ার (২৮) এবং আতাইকুলার কৈজুরি গ্রামের হোসেন সর্দারের ছেলে নিহত সালাম (৫৪)।

এ সময় ঘটনাস্থল থেকে দুটি বিদেশি পিস্তুল, গুলি ও ম্যাগজিন, ছোরা, চাপাতি, ধারালো চাকু ও টাকা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান এ র্যা ব কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, র্যা ব-১২ এর সদর দপ্তর সিরাজগঞ্জে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায় যে, পাবনা থেকে আসা সংঘবদ্ধ ডাকাতদল কুষ্টিয়ার মজমপুর গেইট থেকে ছেড়ে যাওয়া ঢাকাগামী বাসটিতে উঠে ভেড়ামারা বারো মাইল এলাকায় চালককে জিম্মি করে ডাকাতি করছে।

“এ খবর পেয়ে র্যা ব সদস্যরা ধাওয়া করে ভেড়ামারা কোচ কাউন্টারের সামনে বাসটিকে ঘিরে ফেললে উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা গুলি ছুড়তে শুরু করে। র্যা ব দেখে বাসের চালক গেইট খুলে দেয়। পরে র্যাাব সদস্যরা বাসের মধ্যে উঠলে ডাকাতরা যাত্রীবেশে আসনে বসে পড়ে।”

র্যা ব কর্মকর্তা বলেন, এসময় অন্য যাত্রীদের দেখিয়ে দেওয়া মতে ডাকাতদের আটকের চেষ্টার সময় তারা গুলি ছুড়লে র্যারব পাল্টা গুলি চালায়। এতে পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়।

“তাদের বাস থেকে নামিয়ে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সালামকে মৃত ঘোষণা করেন।”

হানিফ পরিবহনের ওই বাসের চালক হাফিজুর বলেন, “বাসটি ভেড়ামারা উপজেলার বারো মাইলে পৌঁছুলে টিকেটধারী দুই যাত্রী বাসে ওঠেন। ওঠার পরই তাদের একজন সুপার ভাইজার রোকনের গলায় চাপাতি ঠেকিয়ে ঠেলতে ঠেলতে গাড়ির পেছনের দিকে নিয়ে যায় এবং আরেকজন আমার কাঁধে চাপাতি ঠেকিয়ে তাদের নির্দেশিত রাস্তায় বাসটি নিয়ে যেতে বলে।

“এসময় বাসের ২০ যাত্রীর মধ্যে থাকা আরও ৩/ ৪জন দাঁড়িয়ে সবাইকে হুমকি দিতে থাকে। ধীর গতিতে চলা বাসটি কিছুটা এগিয়ে যেতেই র্যা বের গাড়ির আওয়াজ পাওয়া যায়। পরে বাসটি ভেড়ামারা স্ট্যান্ডে পৌঁছালে র্যাাব এসে ঘিরে ফেললে দরজা খুলে দিয়ে নেমে যাই।”

তিনি বলেন, “র্যা ব সদস্যরা বাসে ওঠার পর ভেতরে ধস্তাধস্তি ও গুলির শব্দ শুনতে পাই। কিছুক্ষণ পর যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে রক্তাক্ত পাঁচজনকে বের করে গাড়িতে তুলে কুষ্টিয়ায় চলে যায় র্যা ব।”