মঙ্গলবার দিনাজপুর প্রেস ক্লাবে ওই আইনজীবীর মা উম্মে কুলসুম (৯০) এক সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন।
অবশ্য অভিযোগের মুখে থাকা দিনাজপুর জজ আদালতের আইনজীবী মিনহাজুল হাসান ওরফে গোলাম ফারুক এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। মিনহাজের স্ত্রীর রীনা বেগমের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে কুলসুমের পক্ষে তার বড় মেয়ে ফরিদা আকতার বানু লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এ সময় তার ছোট ভাইয়ের বিধবা স্ত্রী শাহানাজ বানু, চাচাত ভাই আবুল কাসেমসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, ফারুকের নির্যাতনে কূলসুমের ছোট ছেলের বিধবা পুত্রবধূ অন্যত্র বসবাস করছেন। আরেক ছেলের বিধবা পুত্রবধূসহ তাদের দুই শিশু সন্তান কুলসুমের সঙ্গে বসবাস করছেন।
ফারুক নির্যাতন করে তাদের বসতবাড়ি দখল করার চেষ্টায় আছেন বলে অভিযোগ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, সর্বশেষ গত ৩ নভেম্বের ফারুক ও তার স্ত্রী মিলে তার ছোট ভাইয়ের বউ শাহানাজ বানু এবং মাকে পিটিয়ে আহত করেন। এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগের পর এ নিয়ে তদন্তও শুরু হয়।
“কিন্তু পুলিশ ফারুকের বিরুদ্ধে কোনো আইনগত ব্যবস্থা না নেওয়ায় তার অত্যাচার-নির্যাতন আরও বেড়েছে গেছে।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোতোয়ালি থানায় ওসি রেদয়ানুর রহিম বলেন, “আমরা অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
গোলাম ফারুক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। তারাই আমাকে ও আমার স্ত্রীকে মারপিট করেছে।”