বান্দরবানের রুমা থানার ওসি মো. শরীফুল ইসলাম জানান, শনিবার রাতে বিলাইছড়ির উপজেলার জারুলছড়ি এলাকায় বান্দরবান-মিয়ানমার সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।
রোববার আহতদের রুমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে ঘটনা জানা জানি হয় বলে জানান তিনি।
স্থানীয়রা স্থল মাইন বলে জানালেও কী বিস্ফোরণ হয়েছে তা নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি ওসি।
তবে গত বছর ২১ জুলাই বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার আশারতলী সীমান্ত এলাকা থেকে পুঁতে রাখা ১২টি স্থল মাইন উদ্ধার করেছিল বিজিবির বোমা বিশেষজ্ঞ দল।
আহতরা হলেন জারুলছড়ি পাড়ার রিংরাও ম্রো (৪২), বান্দরবানের রুমা সদর ইউনিয়নের খোলাইন পাড়ার অংলেই খুমী (৫৩) ও একই ইউনিয়নের প্রংফুংমক পাড়ার অংনে খুমী (৩০)।
হাসপাতালের চিকিৎসক মমিন বলেন, আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বান্দরবান সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহতদের মধ্যে অংলে খুমীর বাম পায়ের গোড়ালি উড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন তার ভাতিজা লেলুং খুমী।
রাঙ্গামাটির ৪ নম্বর বড়থলি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতোমং মারমা বলেন, “জারুলছড়ি মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় পাহাড়ি গয়াল (টং গরু) খুঁজতে গেলে মাটিতে পুঁতে রাখা স্থল মাইন বিস্ফোরণে এরা আহত হয়।
“তাদের উদ্ধার করে প্রথমে বান্দরবানের রুমা উপজেলার সুংসং পাড়া সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান তাদের অবস্থার অবনতি হলে রোববার রাতে রুমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।”
ওসি শরীফুল বলেন, “স্থল মাইন কি না জানি না। তবে গ্রেনেড জাতীয় কোনো কিছু বিস্ফোরণে ওই তিনজন আহত হয়েছে।