জেলার এএসপি (সার্কেল) আমিনুল ইসলাম জানান, সোমবার রাতে সদরের রঘুনাথপুর কোটাবাড়ী সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরে ভাংচুরের এ ঘটনা ঘটে।
দুইদিন আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মন্দির ও হিন্দু বাড়িতে হামলা এবং ভাংচুরের মধ্যে গোপালগঞ্জে এ ঘটনা ঘটল।
মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক রিপন বিশ্বাস বলেন, কালীপূজা উপলক্ষে সোমবার রাতে রঘুনাথপুর দক্ষিণপাড়া মডেল প্রাইমারি স্কুল মাঠে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে কয়েকজন যুবক মেয়েদেরকে উত্ত্যক্ত করে।
“এ সময় মেয়েদের সঙ্গে থাকা স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলে রঘুনাথপুর উত্তর পাড়ার সরু শেখের ছেলে সজীব শেখের নেতৃত্বে ওই যুবকরা মন্দিরে হামলা চালিয়ে সরস্বতী, কার্তিক, দুর্গা ও অসুরের প্রতিমা ভাংচুর করে।”
মন্দিরের পূজারী গীতা বিশ্বাস বলেন, “রাত সাড়ে ১২ টার দিকে শব্দ শুনে ঘর থেকে বের হয়ে দেখি ৮/১০ জন যুবক লাঠিসোটা নিয়ে ছোটাছুটি করছে। এ সময় আত্মরক্ষার জন্য অনুষ্ঠান থেকে ফেরা মেয়েরা আমাদের বাড়িতে আশ্রয় নেয়।
“একপর্যায় লাঠিসোটাধারী যুবকরা মন্দিরে হামলা চালায় এবং প্রতিমা ভাংচুর করে।”
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে এএসপি আমিনুল বলেন, দোষীদের খুঁজে বের করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে এ ঘটনায় মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে এলাকার হিন্দুরা বিভোক্ষ মিছিল করে জেলা শহরে আসে। পরে প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে তারা।