মঙ্গলবার ভোর পৌনে ৪টার দিকে শহরের বাইপাস এলাকার শহীদ নজির উদ্দিন সড়কে এ ঘটনা ঘটে বলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ জানান ।
এরা হলেন, ঝিনাইদহ পৌর জামায়াতের আমির জহুরুল ইসলাম ও ঢাকা মহানগর (পশ্চিম) ছাত্র শিবিরের উপদেষ্টা তারিক হাসান সজীব।
জহুরুলের বিরুদ্ধে সাতটি ও সজীবের বিরুদ্ধে নাশকতার একটি মামলা রয়েছে বলে এএসপি আজবাহার জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় আহত তিন কনস্টেবল নাসিম, আলমগীর ও বুলবুলকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
“দুইপক্ষের মধ্যে ৭-৮ মিনিট গোলাগুলির এক পর্যায়ে দুটি মোটরসাইকেলে তাদের কয়েজন পালিয়ে যায়। পুলিশ সেখান থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুইজনকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন।”
ঘটনাস্থল একটি মোটরসাইকেল, দুটি ওয়ান শুটার গান, দুই রাউন্ড গুলি, পাঁচটি হাতবোমা ও দুটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
কালীগঞ্জে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ডাকাত আহত
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে কথিত অপর বন্দুকযুদ্ধে এক ডাকাত আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার ধোপাবিলা গ্রামের মাঠে এ ঘটনা ঘটে বলে কালীগঞ্জ থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান।
পুলিশ বলছে, আহত নাসির উদ্দীন আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য ও ডাকাতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ওসি আমিনুল বলেন, সোমবার উপজেলার বারোবাজার এলাকা থেকে ডাকাত নাসিরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
“মঙ্গলবার ভোরে তাকে নিয়ে ধোপাবিলা এলাকায় অস্ত্র উদ্ধার করতে গেলে তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ করে। জবাবে পুলিশও ১২ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এক পর্যায়ে পায়ে গুলিবিদ্ধ হয় নাসির।”
ঘটনাস্থল থেকে একটি শুটার গান, এক রাউন্ড গুলি ও দুটি দা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবল সোহাগ ও আনসার সদস্য মনির হোসেন আহত হয়ে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।