হেমায়েত বাহিনীর হেমায়েত উদ্দিন আর নেই

মুক্তিযুদ্ধে হেমায়েত বাহিনীর প্রধান হেমায়েত উদ্দিন মারা গেছেন, বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য যাকে বীরবিক্রম খেতাব দেওয়া হয়।

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Oct 2016, 11:36 AM
Updated : 22 Oct 2016, 01:06 PM

শনিবার সকাল ৬টা ১০মিনিটে ঢাকার মিরপুরে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়।  

তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। তার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার টুপুরিয়া গ্রামে।

মৃত্যুকালে তিনি দুই স্ত্রী, ১১ ছেলে ও দুই মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

তার মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোক প্রকাশ করেছেন।

হেমায়েত উদ্দিনের ভাই কোটালীপাড়া উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শামসুল হক জানান, সোমবার বিকালে কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন শহীদ মিনারে হেমায়েতের মরদেহ সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে। বিকাল ৪টার দিকে হেমায়েত বাহিনী জাদুঘর সংলগ্ন মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে তার অন্তিম ইচ্ছা অনুযায়ী জাদুঘর চত্বরে তাকে সমাহিত করা হবে।

নিজের কবরের জন্য তিনি সেখানে জায়গা নির্ধারণ করে রেখেছিলেন বলেও শামসুল হক জানান।

শামসুল হক জানান, হেমায়েত হোসেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে চাকরি করতেন। একাত্তরের ২৫ মার্চ তিনি গাজীপুর সেনানিবাস থেকে অস্ত্রসহ পালিয়ে গোপালগঞ্জে চলে আসেন। 

“পরে হেমায়েত বাহিনী গঠন করে কোটালীপাড়ার জহরেরকান্দিতে প্রশিক্ষণ ক্যাম্প স্থাপন করেন। হেমায়েত বাহিনী ফরিদপুর ও বরিশাল অঞ্চলে পাকবাহিনীর সঙ্গে একাধিক যুদ্ধে অংশ নেয়। হেমায়েত উদ্দিন রামশীলের যুদ্ধে মারাত্মকভাবে আহত হন।”

বর্তমান সরকার ২০১৩ সালে কোটালীপাড়া উপজেলার টুপুরিয়া গ্রামে হেমায়েত বাহিনী জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করেছে।