রোববার জয়দেবপুর থানার ওসি খন্দকার রেজাউল হাসান রেজা বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে মামলাটি দায়ের করেন বলে গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ জানিয়েছেন।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, নিহত সাত জনকে আসামি রেখে অস্ত্র আইনে মামলাটি করা হয়েছে।
“অভিযানে ২২ বোরের রাইফেলের প্রায় ১০০টি গুলির খোসা, ১০৫টি পিস্তলের গুলি ও একটি পাকিস্তানের তৈরি একটি রিভলবারসহ তিনটি অস্ত্র পাওয়া গেছে।
“তাদের ব্যবহৃত ৩টি মোবাইল ফোন ও কাগজপত্রগুলো তারা পুড়ে ফেলেছে।”
এদিকে গাজীপুরে এই সাত জনসহ শনিবার জঙ্গিবিরোধী অভিযানে নিহত নয় জনের ময়না তদন্তের কাজ রোববার দুপুরে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে শুরু হয়েছে বলে আবাসিক চিকিৎসক প্রণয় ভূষণ দাস জানিয়েছেন।
জয়দেবপুর থানার ওসি খন্দকার রেজাউল হাসান জানান, ময়নাতদন্ত শেষে সবার লাশ ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নোয়াগাঁও পাতারটেক এলাকায় শনিবার পুলিশ ও সোয়াটের অভিযানে সন্দেহভাজন সাত জঙ্গি ও হাড়িনাল পশ্চিমপাড়ার লেবুবাগানে র্যাবের অভিযানে দুই জনের মৃত্য হয়।
রোববার দুপুরে র্যাব-১-এর উপ-পরিচালক মোহাম্মদ মহিউল ইসলাম জানান, হাড়িনাল পশ্চিমপাড়ায় র্যাবের অভিযানে নিহত দুই জঙ্গির বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট অফিসার মো. জয়নাল আবেদীন হয়ে সন্ত্রাস দমন আইনে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
গাজীপুরের নয়জন ছাড়াও শনিবার ঢাকার সাভার উপজেলার আশুলিয়ায় একজন ও টাঙ্গাইলে দুই সন্দেহভাজন জঙ্গি র্যাবের অভিযানে মারা যায়।