দশ টাকার চাল কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় হতদরিদ্রদের ১০ টাকা কেজির চাল কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে এক ডিলারের বিরুদ্ধে।

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Oct 2016, 02:50 PM
Updated : 4 Oct 2016, 02:50 PM

সোমবার কোটালিপাড়ার কুশলা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের হতদরিদ্র কার্ডধারী বসুদেব মধু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযাগে বলা হয়েছে, কুশলা ইউনিয়নে ১০ টাকা মূল্যের চাল বিক্রির জন্য নিযুক্ত ডিলার আল মামুন হোসেন (নিক্সন) ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কার্ডধারী অর্ধশতাধিক হতদরিদ্রকে চাল না দিয়ে কালোবাজারে বিক্রি করেছেন।

অভিযোগকারী বসুদেব মধু সাংবাদিকদের বলেন, “ডিলার মামুন আমাদের ওয়ার্ডের প্রায় অর্ধশত ব্যক্তিকে চাল না দিয়ে আত্মসাত করেছেন। আমরা গরিব মানুষ। আমরা চাই, প্রতিমাসে ১০ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল।”

ওই ওয়ার্ডের জাঠিয়া গ্রামের বিধাবা সুন্দরী বালা বলেন, “১০ টাকা কেজি দরে চাল দেওয়ার জন্য সরকার আমাকে একটি কার্ড দিয়েছে। কার্ডের নামের তালিকায় আমার সিরিয়াল ৩৩৯ নম্বর। আমার কাছে এখন পর্যন্ত কার্ড হস্তান্তর করা হয়নি। ডিলার গত সেপ্টেম্বর মাসে আমাকে চাল দেয়নি।”

একই গ্রামের কালিপদ বাড়ৈ বলেন, “ডিলার মামুন স্বাক্ষর করে আমাকে একটি কার্ড দিয়েছেন। সে কার্ডে ৩০ কেজি চাল আমি উত্তোলন করেছি বলে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু ওই কার্ড দিয়ে আমি কোনো চাল উত্তোলন করিনি। আমি ডিলারের কাছে চাল চাইতে গেলে সে আমাকে বিভিন্ন প্রকার হুমকি দিচ্ছেন।”

এ ব্যাপারে মামুন হোসেন বলেন, “আমি চাল আত্মসাৎ করিনি। এ ব্যাপারে কাউকে হুমকি প্রদর্শন করিনি। তবে গত মাসে ১০/১৫টি কার্ডের চাল বিতরণ করতে পারিনি। দুয়েকদিনের মধ্যে কার্ডধারীদের চাল বিতরণ করব।”

ইউএনও জিলাল হোসেন ডিলার আল মামুন হোসেনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। তদন্তে দোষী হলে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।