মুন্সীগঞ্জ দুর্ঘটনা: পানির নিচে গাড়ি শনাক্ত

মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুরে সেতুর রেলিং ভেঙে ধলেশ্বরী নদীতে তলিয়ে যাওয়া প্রাইভেট কারটিকে ৬০ ফুট পানির নিচে শনাক্ত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা।

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Oct 2016, 04:49 AM
Updated : 1 Oct 2016, 11:19 AM

সদরঘাট নদী ফায়ার স্টেশনের ডুবুরি হুমায়ুন কবির বলছেন, গাড়ির ভেতরে ‘একজনের লাশ’ রয়েছে বলে তাদের ধারণা।

শনিবার সকাল ১০টার দিকে পানির নিচে গাড়িটি শনাক্ত করার পর রশি বেঁধেছেন ডুবুরিরা। সেটি টেনে তোলার জন‌্য রেকার আনা হচ্ছে বলে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি ইউনুচ আলী জানান।

ঢাকা থেকে মুন্সীগঞ্জগামী ওই প্রাইভেট কার শুক্রবার গভীর রাতে মুক্তারপুর সেতুর টোল প্লাজা পার হয়ে কিছুটা এগিয়ে যাওয়ার পর নিয়ন্ত্রণ হারায়। এরপর গাড়িটি সেতুর পশ্চিম দিকের রেলিং ভেঙে নদীতে তলিয়ে যায়।

মুক্তারপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মোশারফ হোসেন জানান, ওই গাড়ির মালিক নারায়ণগঞ্জ শহরের আমলাপাড়ার ব্যবসায়ী হাজী আব্দুর রউফ। তার ছেলে কলেজছাত্র জালাল উদ্দিন ভূইয়া রুমী (২০) ওই গাড়িতে ছিলেন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

“রাতে চালক মো. রুবেলকে নিয়ে রুমী মুক্তারপুর সেতুতে ঘুরতে আসে। রুবেল বলছে, সেতুর দক্ষিণ প্রান্তে তাকে নামিয়ে রেখে রুমী নিজেই ড্রাইভ করছিলেন। টোল প্লাজা থেকে ইউ টার্ন করে ঘুরে আসার পথে রেলিং ভেঙে গাড়িটি পড়ে যায়।”

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল রাতেই অভিযানে নামে। রাত ২টার দিকে ৬০ ফুট পানির নিচ থেকে গাড়ির বাম্পার পাওয়ার কথা জানান ডুবুরি হুমায়ুন কবির।

কিন্তু নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে এক পর্যায়ে তল্লাশি স্থগিত করা হয়। এরপর শনিবার সকাল ৯টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা আবারও অনুসন্ধান শুরু করে।

রুমীর পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গাড়ি ও লাশ উদ্ধারের অপেক্ষায় আছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।