শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টার পর তাকে দাফন করা হয় বলে জানান হান্নান শাহর বড় ছেলে শাহ রেজাউল হান্নান রেজা।
রেজাউল হান্নান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার বাবা দাফনের ব্যাপারে মায়ের কবরের পাশে শায়িত হওয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়ে গেছেন।
সেই অনুযায়ী ঘাগুটিয়ার চালা পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। সেখানে তার দাদা-দাদিসহ অন্যদের কবরও রয়েছে বলে জানান রেজা।
গত মঙ্গলবার ভোরে সিঙ্গাপুরের র্যাফেল হার্ট সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা।
শুক্রবার সকাল সোয়া ৯টায় জেলা শহরের ভাওয়াল রাজবাড়ি মাঠে, ১১টায় কাপাসিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে, বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে নিজ বাড়ির পাশে ঘাগুটিয়ার চালা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এবং বিকাল ৫টায় বাড়ির আঙিনায় তার জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সমাহিত করা হয়।
জানাযা অংশগ্রহণ এবং জানাজাপূর্ব স্মতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম খান, কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. মোহার হোসেন মোল্লা, বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেন, গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন, সাধারণ সম্পাদক সাইয়েদুল আলম বাবুল, কেন্দ্রীয় সদস্য হাসান উদ্দিন সরকার, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম, কাপাসিয়া উপজেলার সভাপতি মো. শহীদুল্লাহ, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মো. মনিরুল ইসলাম মনি, হান্নান শাহর দুই ছেলে শাহ রেজাউল হান্নান, শাহ রিয়াজুল হান্নান প্রমুখ।
হান্নান শাহ ১৯৯১-১৯৯৫ সালে বিএনপির শাসনামলে পাট মন্ত্রী ছিলেন।
ঘাগটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খোরশেদুল আলম জানান, হান্নান শাহর বাবা ফকির আব্দুল মান্নান পূর্ব পাকিস্তানের মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং তৎকালীণ খাদ্য ও কৃষি মন্ত্রী ছিলেন। হান্নান শাহ তিন ভাইয়ের মধ্যে ছিলেন সবার বড়। তার ছোট ভাই শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমান বিচারপতি ছিলেন। অপর ভাই মোবারক শাহ যুক্তরাষ্ট্রে একটি ব্যাংকে উচ্চপদে কর্মরত আছেন। ছোট বোন ডা. আঞ্জুমান আরা বেগম মিনু ঢাকার মহাখালীস্থ আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক পদে কর্মরত এবং বড় বোন মৃত আনোয়ারা ইদ্রিস ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের বড় ভাইয়ের স্ত্রী।
হান্নান শাহর দুই ছেলে শাহ রেজাউল হান্নান ও রিয়াজুল হান্নান ব্যবসায়ী।