তিনি হাই কোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিমের বাবা।
ঢাকার বারডেম হাসপাতালে রোববার সকাল সোয়া ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন তার বড় ছেলে বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম।
দুই ছেলে ছাড়াও আব্দুর রহিম স্ত্রী, চার মেয়ে রেখে গেছেন।
মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতও শোক জানিয়ে বার্তা দিয়েছেন।
বার্ধক্যজনিত জটিলতা নিয়ে ২ অগাস্ট দিনাজপুরে জিয়া হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন আব্দুর রহিম। সেখানে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ৯ অগাস্ট তাকে ঢাকা এনে বারডেম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বিকাল ৫টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রবীণ এই রাজনীতিকের জন্ম ১৯২৭ সালের ২১ নভেম্বর দিনাজপুর সদর উপজেলার শংকরপুর ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৯ সালে এলএলবি ডিগ্রি অর্জনের পরের বছর দিনাজপুর বার-এ যোগ দেন তিনি।
ছাত্র অবস্থায় এম আব্দুর রহিম পাকিস্তান আন্দোলনে যুক্ত হন। রাজশাহী কলেজের শহীদ মিনার নির্মাণে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে ১৯৫৪ সালের নির্বাচনী প্রচারাভিযানেও অংশ নিয়েছেন।
ঐতিহাসিক আগরতলা মামলার লিগ্যাল এইড কমিটির সদস্য আব্দুর রহিম আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ১৯৭০ সালে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।
স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বৃহত্তর দিনাজপুর অঞ্চলের মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। একাত্তরে মুজিবনগর সরকার এম আব্দুর রহিমকে পশ্চিম জোনের চেয়ারম্যান-১ নিযুক্ত করে।
আব্দুর রহিম স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগ ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করা আব্দুর রহিম ১৯৯১ সালে দিনাজপুর সদর আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।