শনিবার রাত ১টার দিকে বরিশালের হিজলা উপজেলার কালিগঞ্জ মাঝেরচর এলাকায় হিরন সিকদার (২৮) এমভি পারাবত-১২ লঞ্চ থেকে মেঘনা নদীতে পড়ে যান।
হিরন বরিশাল নগরীর ৫ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং বাজার রোডের বাসিন্দা মাছ ব্যবসায়ী শাহ আলম সিকদারের ছেলে।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার সঙ্গে থাকা বরিশাল নগরীর তিন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
আটকরা হলেন নগরীর ৫ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সভাপতি সিরাজুল ইসলাম নয়ন (২৯), ৬ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সভাপতি শেখ সুজন (২৯) ও ছাত্রলীগকর্মী রিয়াজুল ইসলাম (২৮)।
“হিরনের সঙ্গে কোনো একটি বিষয় নিয়ে নয়নের ভুল বোঝাবুঝি হয়। নয়ন হিরনকে কিছু বোঝানোর চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু হিরনকে বোঝাতে না পেরে কেবিনে থাকা অপর দুই জনকে ডেকে আনেন নয়ন।
“এসময় তাদের দেখে হিরন দৌড়ে তিন তলায় উঠে বারান্দা থেকে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েন।”
আটক সিরাজুল ইসলাম নয়ন বলেন, কোনো একটি বিষয় নিয়ে লঞ্চের এক যাত্রীর সঙ্গে হিরনের কথা কাটাকাটি হয়। এসময় তিনি কেবিনে থাকা সুজন ও রিয়াজুলকে ডাকতে গেলে হিরন লঞ্চ থেকে নদীতে ঝাঁপ দেন।
হিরন ঝাঁপ দেওয়ার পর কর্তৃপক্ষকে লঞ্চ থামানোর অনুরোধ করা হলেও তারা তা শোনেনি বলে অভিযোগ নয়নের।
তবে এ অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন লঞ্চের সুপারভাইজার মোখলেছুর রহমান।
বরিশাল নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মো. শফিক বলেন, হিরনের সঙ্গে থাকা তিন জনই প্রকৃত ঘটনা আড়াল করার চেষ্টা করছেন।
“এখানে নারীঘটিত কোনো বিষয় থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করা হচ্ছে। তাই তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে কোতোয়ালি মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।”