মঙ্গলবার নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ শাহীন উদ্দিন আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
দণ্ডিত মিজানুর রহমান মিজান (২৮) নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাইয়াপুর গ্রামের জয়নাল আবেদিনের ছেলে।
সার কারখানায় এক আত্মীয়ের বাসায় মিজান থাকতেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি সরকার কাউছার আহমেদ জানান।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ঘোড়াশাল সারকারখানার বিক্রয় শাখার অফিস সহকারী মাহমুদ আলমগীরের একমাত্র মেয়ে আদিবা (১৪)। ২০১২ সালের ২৬ জানুয়ারি বিকালে বাসায় একা পেয়ে দুর্বৃত্তরা ঘরে ঢুকে তাকে গলা কেটে হত্যা করে লাশ বাথরুমে ফেলে রাখে এবং আলমারি ভেঙে তিন ভরি স্বর্ণালংকারসহ নগদ টাকা লুটে নেয়।
পিপি সরকার কাউছার আহমেদ জানান, এ ঘটনায় মাহদুদ আলমগীর বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে পলাশ থানায় একটি মামলা করেন।
“মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পলাশ থানার এসআই হেদায়েত উল্লাহ মিজানকে নোয়াখালির চাটখিল থেকে গ্রেপ্তার এবং তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক চাটখিলের এক স্বর্ণকারের দোকান থেকে অলংকার ও নগদ টাকা উদ্ধার করেন।”
পরে নরসিংদীর বিচারিক হাকিম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন মিজানুর। তদন্ত কর্মকর্তা তাকে একমাত্র আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন বলে জানান পিপি।