রোববার বিকালে উপজেলার চৌরাস্তা মোড়ের শতাধিক ব্যবসায়ী এ অভিযোগ করেন।
তবে হাতির মাহুত বলছেন, ‘এটা চাঁদা নয় হাতির জন্য বকশিস।’
সরেজমিনে দেখা যায়, রোববার বিকালে বিশালাকার একটি হাতি নিয়ে চৌরাস্তা মোড়ে উপস্থিত মাহুত বাদশা মিয়া (২৮)। প্রত্যেকটি দোকানের সামনে হাতিটি শুঁড় এগিয়ে দিচ্ছে। শুঁড়ে গুজে দেওয়া টাকা তুলে দিচ্ছে হাতির পিঠে থাকা মাহুত বাদশার হাতে। টাকা দিলেই কেবল শুঁড় সরিয়ে আনে। না হলে দোকানের মালামাল নষ্ট করার চেষ্টা করে।
ব্যবসায়ী সুলতান সরকার বলেন, “মাহুত বাদশা হাতি নিয়ে আমার দোকানে এসে টাকা দিতে বলে। মালমাল রক্ষায় হাতির শুঁড়ে ২০ টাকা দিই। কিন্তু হাতি টাকা ছুড়ে ফেলে। পরে ৫০ টাকা দিয়ে ছাড়া পাই।”
রোববার বিকালে হাতি দিয়ে মাহুত বাদশা প্রায় ২০ হাজার টাকা ‘চাঁদা’ আদায় করেছে বলে দাবি করেন কাপড় ব্যবসায়ী মতিন।
এ নিয়ে মাহুত বাদশা মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এটা চাঁদা নয়। ব্যবসায়ীরা হাতিকে বকশিস দিয়েছেন।”
কী কারণে এ বকশিস তা জানতে চাইলে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।
এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন রাণীশংকৈল থানার ওসি রেজাউল করিম।