জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে রোববার ক্যাম্পাসে এক মানববন্ধনে তিনি বলেন, “যাদেরকে আমরা লালন-পালন করছি, শিক্ষিত করে তুলছি, আজ তাদেরকেই সন্দেহ করতে হচ্ছে। তাদের চলাফেরা-আচরণ আমাদের পর্যবেক্ষণ করতে হচ্ছে।
“এটা আমাদের কাছে খুবই দুঃখের বিষয়।”
সম্প্রতি গুলশান ও শোলাকিয়ায় হামলায় বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণদের জড়িত থাকার তথ্য প্রকাশের পর সারাদেশে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নজরদারি চালাতে জোর দেওয়া হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে।
কর্মসূচিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ মিজানউদ্দিন বলেন, “ক্যাম্পাস সবচাইতে নিরাপদ স্থান হলেও কতিপয় বিপথগামী শিক্ষার্থীর কারণে আজ সবাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।”
শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের এই মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যার বিচারও দাবি করা হয়।
গত এপ্রিলে সন্দেহভাজন জঙ্গিরা অধ্যাপক রেজাউলকে রাজশাহী নগরীতে তার বাড়ির কাছে কুপিয়ে হত্যা করে। এই হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তারদের মধ্যে তার বিভাগের এক ছাত্রও রয়েছেন।
জঙ্গি তৎপরতায় শিক্ষার্থী ছাড়াও শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পৃক্ততার আশঙ্কা প্রকাশ করে রাবি উপাচার্য মিজান বলেন, “আমাদেরকে এই সকল বিপথগামীদের খুঁজে বের করতে হবে।”
শিক্ষার্থীদের সংস্কৃতি ও খেলাধুলা চর্চার মাধ্যমে জঙ্গিবাদের থাবা থেকে মুক্ত করার জন্য শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আহ্বান জানান তিনি।
সিনেট ভবনের সামনে এই মানবব্ন্ধনে দুই শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশ নেন। এরপর একটি প্রতিবাদী মিছিল বের করেন তারা।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে এবং সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শাহ্ আজমের সঞ্চলনায় মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা, সাবেক ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ছাদেকুল আরেফিন, সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক কে বি এম মাহবুবুর রহমান, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী প্রমুখ।