বজ্রপাতে পাঁচ জেলায় নিহত ৬

শেরপুর, গাইবান্ধা, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর ও মেহেরপুরে বজ্রপাতে দুই নারীসহ ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন শিশুসহ আরও নয় জন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 July 2016, 02:25 PM
Updated : 29 July 2016, 03:09 PM

এরা হলেন শেরপুর সদরের জোসনা মিয়া (৫৫), নালিতাবাড়ী উপজেলার মিয়া হোসেন (৪৫), গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের শরিফুল ইসলাম (৩৮), চাঁদপুরের মতলব উত্তরের নাছিমা বেগম (৪০), লক্ষ্মীপুর সদরের মো. সজীব হোসেন (২২) এবং মেহেরপুরের গাংনীর আইমা খাতুন (২৮)।

শুক্রবার দুপুর থেকে বিকালের মধ্যে এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

শেরপুরে শিশুসহ আরও দুইজন আহত হয়েছেন। 

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. মোবারক হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টেোর ডটকমকে বলেন, দুপুর পৌনে ১টার দিকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মধ্যে জোসনা মিয়া তার দুই মজুর আহালু ও চান মিয়াকে সঙ্গে নিয়ে জমিতে হালচাষ করছিলেন।

“এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই জোসনা মিয়ার মৃত্যু হয় এবং আহালু (২৮) ও চান মিয়া (১০) আহত হন।”

আহালু সদর উপজেলার দড়িপাড়া গ্রামের আফালী মিয়ার ছেলে এবং চান মিয়া একই এলাকার আক্তার আলীর ছেলে।

নালিতাবাড়ী থানার ওসি একেএম ফসিহুর রহমান জানান, বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মিয়া হোসেন ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষ করছিলেন। এ সময় মুষলধারে বৃষ্টির মধ্যে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলে মারা যান তিনি।

তার বাড়ি নালিতাবাড়ীর উত্তর কালিনগর গ্রামে।

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে মারা গেছেন তালুক কানুপুর ইউনিয়নের সমসপাড়া নুনদহ গ্রামের আব্দুস সামাদ মিয়ার ছেলে শরিফুল ইসলাম।

তালুক কানুপুন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান আতিক জানান, বেলা ২টার দিকে শরিফুল বাড়ির পাশে নিজ পুকুরে মাছের খাদ্য দিচ্ছিলেন। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

চাঁদপুরের মতলব উত্তর থানার ওসি আলমগীর হোসেন জানান, উপজেলার দক্ষিণ রামপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় দুপুরে বাড়ির আঙিনায় বজ্রপাতে মারা যান গৃহবধূ নাছিমা বেগম (৪০)।

লক্ষ্মীপুরে ভাগ্নে নিহত, মামা আহত

লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আনোয়ার হোসেন জানান, বেলা ১টার দিকে সদর উপজেলার চররুহিতা ইউনিয়নের চর মন্ডল গ্রামে বজ্রপাতে মারা গেছেন মো. সজীব হোসেন।

ওই সময় তার মামা ইসমাইল হোসেন (৩৫) আহত হন।

মৃত সজীব চররুহিতা এলাকার আবুল হাসেমের ছেলে।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে আনোয়ার হোসেন জানান, বেল ১২টার দিকে সাড়ে ১২ টার দিকে মাঠে কৃষি কাজ করার সময় তারা বজ্রপাতে গুরুতর আহত হন। দুজনকেই হাসপাতালে আনা হয়।

তবে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয় বলে জানান এই চিকিৎসক।

আহত ইসমাইল হোসেনকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। ইসমাইল চর মন্ডল গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় মারা গেছেন গাড়াবাড়িয়া গ্রামের কালু শেখের স্ত্রী আইমা খাতুন।

গাংনী থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, বিকাল ৪টার দিকে আইমা খাতুন বাড়ির আঙিনায় কাজ করছিলেন। ওই সময় বজ্রপাতে তার শরীর ঝলসে যায় এবং ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়।

এছাড়া আশপাশের আরও ছয় জন আহত হন বলে জানান ওসি।